ভূমধ্যসাগর থেকে ৪৭০ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার
ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চারশ ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের জাহাজ জিও ব্যারেন্টস৷
ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চারশ ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের জাহাজ জিও ব্যারেন্টস৷
রোববার, ৮ মে সন্ধ্যায় ভূমধ্যসাগরে মানবিক উদ্ধার জাহাজ সি-ওয়াচ-৪ ৮৮ জন অভিবাসীকে সমুদ্রের প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে৷ মাল্টা উপকূলে অন্য একটি পণ্যবাহী জাহাজ থেকে আরো ৩৪ জনকে উদ্ধার করে সি-আই৷ এসব অভিবাসীরা মাঝ সমুদ্রে টানা চার রাত ভেসেছিলেন বলে জানা গেছে৷
ইউরোপের বহিঃসীমান্তরক্ষী বাহিনী ফ্রন্টেক্সের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তথ্য লুকানোর অভিযোগে মামলা করেছে সি-ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল ও ফ্রাগ ডেন স্টাট৷ গত বছরের জুলাই মাসের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই মামলা দায়ের করেছে সংস্থা দুইটি৷
ভূমধ্যসাগরে সক্রিয় উদ্ধারকারী জাহাজ ওশান ভাইকিং শনিবার বিকেল থেকে রবিবার সকালের মধ্যে চারটি উদ্ধার অভিযানে ৫১ জন অপ্রাপ্তবয়স্কসহ ২২৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
মাল্টায় অভিবাসীদের পদ্ধতিগত আটকের বিষয়ে একটি যৌথ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জিসতি ও মিগ্রইউরোপ। এই দুই সংস্থার মতে, দ্বীপে আগত অভিবাসীদের নির্বিচারে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে আটকে রাখা আন্তর্জাতিক এবং ইউরোপীয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মাল্টিজ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ৩২জন আশ্রয়প্রার্থী। আশ্রয়প্রার্থীদের অভিযোগ, মাল্টিজ মন্ত্রিসভার আদেশে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে লকডাউন ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নামে তাদেরকে দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য আঞ্চলিক জলসীমার বাইরে দুটি পর্যটক নৌকায় রাখা হয়েছিল।