ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য আরো সাহায্য চায় ইইউ দেশগুলো
ইউক্রেনে যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাহায্যে বরাদ্দ বাড়াতে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছে ১০ টি সদস্য দেশ৷ চিঠিটির একটি অনুলিপি এসেছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ-এর হাতে৷
ইউক্রেনে যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাহায্যে বরাদ্দ বাড়াতে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছে ১০ টি সদস্য দেশ৷ চিঠিটির একটি অনুলিপি এসেছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ-এর হাতে৷
ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে ইতিমধ্যেই ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দপ্তর (ইউএনএইচসিআর)। এছাড়া দেশটিতে অবস্থানরত প্রায় ৭১ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে ইউক্রেনের কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ঊনত্রিশটি ট্যাক্সির একটি বহর মাদ্রিদ থেকে যাওয়া-আসা মিলিয়ে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পোলিশ সীমান্ত থেকে ১৪০ জন ইউক্রেনীয়কে স্পেনে নিয়ে গেছে৷
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পোল্যান্ডে এসেছেন প্রায় ৩৫ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থী৷ সীমান্তে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ছোট বড় প্রায় সব এনজিও ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা৷ তবে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পোল্যান্ডসহ ইইউ দেশগুলোতে ক্যাটারিং শিল্পে কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করছে ‘প্যারাবেরে ফোরাম’।
ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা নারী ও শিশুদের দিকে মানপাচারকারী বিভিন্ন চক্রের নজর পড়ার ইঙ্গিত পেয়েছে পোলিশ কর্তৃপক্ষ৷
রাশিয়ার বোমা হামলা থেকে পালাতে ইউক্রেন থেকে দশ লাখেরও বেশি শরণার্থী এসেছে পোল্যান্ডে। পুরুষ অভিবাসীদের পাশাপাশি দেশটিতে আসা নারী ও শিশু শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানকে একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে ।
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে বিভিন্ন সময়ে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷ তাদের কেউ নিয়মিতভাবে এসেছেন, অনেকে এসেছেন অনিয়মিত উপায়ে৷ দেশটির জেলখানা বা বন্দিশিবিরেও আটকে ছিলেন ও আছেন কেউ কেউ৷ কিভাবে এই দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷? তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সংকটময় পরিস্থিতিতে পাঁচ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছেন৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগের কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন এই ইউক্রেনীয়রা৷
ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডের মেডিকা সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ পাশাপাশি পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও স্বদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন৷
কোলের শিশু, প্রয়োজনীয় নথি, সামান্য ওষুধপত্র, আর কিছু জামাকাপড়–সামান্য সম্বলটুকু নিয়ে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাচ্ছেন হাজারো ইউক্রেনীয়৷
নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ইউক্রেন পেরিয়ে বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা পোল্যান্ড সীমান্তে প্রবেশ করছেন৷ দেশটিতে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ডয়চে ভেলের কাছে৷
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে বহু আফ্রিকান অভিবাসী ইউক্রেন এবং পোল্যান্ড সীমান্তে আটকা পড়েছে।