ইস্তাম্বুলে এক টুকরো সিরিয়া ‘ইয়োলো’ ক্যাফে
তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের একটি রেস্তোরাঁ ইয়োলো ক্যাফে৷ যা রেস্তোরাঁ পরিচয় ছাপিয়ে পরিণত হয়েছে ওই দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় অভিবাসীদের সংস্কৃতি কেন্দ্রে৷
তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের একটি রেস্তোরাঁ ইয়োলো ক্যাফে৷ যা রেস্তোরাঁ পরিচয় ছাপিয়ে পরিণত হয়েছে ওই দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় অভিবাসীদের সংস্কৃতি কেন্দ্রে৷
আলজেরিয়ার মাধ্যমে ইউরোপে মানবপাচারের কুখ্যাত একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে আলজেরীয় পুলিশ৷ স্থানীয় গণমাধ্যম বুধবার এ কথা জানিয়েছে৷
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সরকার নিয়ন্ত্রিত আরো দুটি এলাকাকে শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার জন্য “নিরাপদ” বলে ঘোষণা করছে ডেনমার্ক। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘোষণা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠাতে ডেনমার্ক একটি ভিন্ন কৌশল নিয়েছে।
চলমান শীতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আরেকটি ঢেউ মোকাবিলা করছে জার্মানির শহরগুলো৷ তবে এই স্রোত যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনের নাগরিকদের নয়৷ এরা আসছেন পশ্চিম বলকানের দেশগুলো থেকে৷
ভয়াবহ ভূমিকম্প ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে তুরস্ক ছেড়ে নিজ দেশ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফিরে গেছেন প্রায় ৪০ হাজার সিরীয় শরণার্থী।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ায় কারাগারে আটক তিন অপ্রাপ্তবয়স্কসহ অন্তত ২২ সিরীয় অভিবাসী নিজেদের মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচি শুরু করছেন৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় দশ লাখ অভিবাসী গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা ২০১৬ সালের পরে সর্বোচ্চ৷ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরাও৷
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে গ্রিস৷ তাই অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নিজেদের সীমান্ত জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ৷
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য নিজেদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি৷ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জার্মানিতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ করে দিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো এই নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলেও সিরিয়ানদের জন্য বিষয়টি এখনও একটু কঠিন৷
সিরিয়া এবং তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। খাদ্য, পানি, চিকিৎসাসহ উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের লাখো মানুষের ন্যূনতম চাহিদাও মিটছে না। তাদের সহযোগিতায় সাধ্য অনুযায়ী কাজ করছে জাতিসংঘ এবং স্থানীয়রা। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেটা যথেষ্ট নয়।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের প্রাচীন শহর আন্টাকায় ঠাঁই নেন আইডিন সিসম্যানের আত্মীয়রা৷ গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় তারা সবাই ছিলেন সিসম্যানের ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত শাশুড়ির বাড়িতে৷ সিসম্যানের আত্মীয়দের মতো লাখো শরণার্থী তুরস্কে একটি অস্থায়ী আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন৷ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে নিজেদের বাঁচাতে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা৷ এই ভূমিকম্প লাখো শরণার্থীদের জীবন আরো বিপন্ন করে তুলেছে৷
আফ্রিকার দেশ সুদানের অভিবাসী মোহাম্মদ ও ইসরা। এই দুই অভিবাসীর একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় তুরস্কে এক পাচারকারীর বাড়িতে। সেখান থেকে প্রেমের শুরু৷ তারপর বিয়ে করে গ্রিক দ্বীপ লেসবোসের দিকে যাত্রা করেন তারা। বর্তমানে তারা গ্রিসের আশ্রয়কেন্দ্রে বৈধতা পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন৷