অভিবাসীদের বহনকারী একটি জাহাজকে বাধা দিচ্ছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ।। ছবি : Hamza Turkia/Xinhua/Imago Images
অভিবাসীদের বহনকারী একটি জাহাজকে বাধা দিচ্ছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ।। ছবি : Hamza Turkia/Xinhua/Imago Images

লিবিয়ার জাউইয়া উপকূলের কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর আরো ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ভূ-মধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের পথে পাড়ি দেয়া ৬০০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফিরিয়ে এনেছে স্থানীয় কোস্টগার্ড।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে যে, ২রা মে লিবিয়া থেকে ভূ-মধ্যসাগরের উদ্দেশে যাত্রা করা ১১ জন অভিবাসী নৌকা ডুবে মারা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির পশ্চিমে অবস্থিত জাউইয়া শহরের উপকূলে। লিবিয়া কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, “নৌকায় প্রায় ২০ জনের মতো অভিবাসী ছিলো, তার মধ্যে তারা ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।’’


এ ঘটনার পর ভূমধ্যসাগরে এবং লিবিয়া উপকূলে প্রাণহানির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছে আইওএম। 

৬০০ এর বেশি অভিবাসীকে ফিরিয়ে এনেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড

দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোস্টগার্ড প্রায় ১২শ’রও বেশি অভিবাসীকে সমুদ্র থেকে লিবিয়া ফেরত এনেছে।

এছাড়া লিবিয়ার নৌবাহিনী জানায়, শনিবার থেকে রোববার রাতের মাঝামাঝি সময়ে কোস্টগার্ড ও বন্দর নিরাপত্তা টহল ত্রিপোলির উত্তর-পশ্চিমে ৩৩৪ জন আফ্রিকান অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। সমুদ্র পথে ইউরোপ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলো এই অভিবাসীরা৷ চারটি ভাসমান নৌকায় রওনা দিয়েছিলো তারা।


২ এবং ১৭২ জন অভিবাসীর আরও দুটি আলাদা গ্রুপকে শুক্র ও শনিবার ত্রিপোলি নৌ ঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লিবিয়ায় ফেরত আনার পরে তাদের দেখভালের দায়িত্ব নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘অবৈধ অভিবাসন রোধে গঠিত সংস্থা’। 

আইওএম জানিয়েছে তাদের পক্ষ থেকে ৬০০ এর বেশি অভিবাসীকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়। 

প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে ইটালি উপকূল হয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং পয়েন্ট। প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ এই পয়েন্ট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকেন। লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবিতে মারা যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২২শে এপ্রিল অন্তত ১৩০ জন অভিবাসী নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারায়।সমুদ্রে উদ্ধারকারী এনজিও ওশান ভাইকিং ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করে৷ অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি ইউরোপ এবং লিবিয়ার পক্ষ থেকে কোন উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানো হয়নি।  

এমএইউ/এপিবি

 

অন্যান্য প্রতিবেদন