ফ্রান্সের উত্তরের কালে বন্দর | ছবি: picture-alliance/dpa/Maxppp/J. Ben Azzouz
ফ্রান্সের উত্তরের কালে বন্দর | ছবি: picture-alliance/dpa/Maxppp/J. Ben Azzouz

গত বৃহস্পতিবার দিন থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অভিবাসী ফ্রান্সের উত্তরে অবস্থিত কালে বন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করে। স্থানীয় প্রেফেকচুর থেকে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে এএফপি জানায়, অভিবাসীদের প্রবেশ চেষ্টার কারণে সেখানে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং একজন ট্রাকচালক আহত হন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা পা-দ্য-কালে প্রেফেকচুর এফপিকে জানায়, প্রায় শতাধিক অভিবাসী নির্মাণাধীন নতুন বন্দরের পূর্ব দিকে গ্রিল কেটে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে রাস্তায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। 

প্রেফেকচুর আরো জানায়, অভিবাসীদের উপর পুলিশি হস্তক্ষেপের সময় যান চলাচল সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয় এবং বেশ কয়েকটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া এক চালককে কালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় ভোর ৪ টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

অভিবাসন নীতির ব্যাপক সংস্কার দাবি


উ-দ্য-ফ্রন্সঁ বিভাগের রিজিওনাল কাউন্সিলের সভাপতি জাভিয়ের বের্ত স্থানীয় মেয়রের সাথে সাক্ষাতের পর জানান, "আসলে এরকম ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে৷ তাই আমি আর সেই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে করতে চাচ্ছি না। ২০১৬ সালে কালে জঙ্গলে অবস্থিত ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়ার সময় এবং কালে উপকূলে অভিবাসন নিয়ে একটি স্থায়ী সমাধানে আসতে রিপাবলিকান দল সমর্থিত শহরের বর্তমান মেয়র নাতাশা বুশারকে সাথে নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন লড়াই করছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা রক্ষা করা হয়নি৷’’


ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা একটি চিঠিতে নির্বাচিত এই দুই জনপ্রতিনিধি কালে অঞ্চলে অতি দ্রুত অতিরিক্ত মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।

"আমি বিএমআর (অভিভাসনের দায়িত্বে থাকা বিশেষ ব্রিগেড ভ্রাম্যমাণ বাহিনী ) এর কার্যক্রম জোরদার করার জন্য আবেদন করেছি, কারণ এদের সংখ্যা মাত্র ৩৬ জন। আমি রাষ্ট্রকে সতর্ক করেছি কারণ পাচারকারীরা তাদের কার্যক্রম প্রায় দুই তিন গুণ বাড়িয়েছে। এত অল্প সংখ্যক সদস্য নিয়ে এসব কার্যক্রম রুখে দেয়া প্রায় অসম্ভব’’ বলেন জাভিয়ের বের্ত। অন্যদিকে, মেয়র নাতাশা বুশার মনে করেন, ‘‘অভিবাসন প্রশ্নে আইনি সংস্কার অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে৷’’

ইরাক, ইরান, সুদান এবং ইরিত্রিয়া থেকে আসা কয়েকশ’ অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশের উদ্দেশে কালে’তে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সমুদ্রপথে ছোট নৌকার সাহায্যে আবার কিছু অভিবাসী ট্রাকে করে ইংলিশ চ্যানেলে অবস্থিত টানেল পার হওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ম্যারিটাইম প্রেফেকচুর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসের শুরু থেকে প্রায় ১৮০ জন অভিবাসীকে ফ্রান্সের সমুদ্র সীমানা থেকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে।  



এমএইউ/এপিবি


 

অন্যান্য প্রতিবেদন