লিবিয়া ক্রমেই হয়ে উঠেছে মধ্য ভূমধ্যসাগরের রুটে অবৈধ অভিবাসনের প্রাণকেন্দ্র | ছবি: রয়টার্স
লিবিয়া ক্রমেই হয়ে উঠেছে মধ্য ভূমধ্যসাগরের রুটে অবৈধ অভিবাসনের প্রাণকেন্দ্র | ছবি: রয়টার্স

দুই মানব পাচারকারীকে লিবিয়ায় আটক করা হয়েছে৷ দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই অভিযানের ফলে ঠেকানো গেছে ৫৩ জনের অবৈধ আগমন। তাদের মিশরে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

রোববার একটি প্রাইভেট বিমানে করে ৫৩জনকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে ফেরত পাঠায় লিবিয়া কর্তৃপক্ষ। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জানানো হয় যে এই ৫৩জন লিবিয়ায় সাগরপথে প্রবেশ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন।

লিবিয়ার চিফ প্রসিকিউটার জানান যে এই অভিযান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হজ হাকিম (সোশাল মিডিয়ায় এই নাম ব্যবহার করে থাকে সে) নামের এক পরিচিত মানব পাচারকারীকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটক করে টাকা আদায়ের জন্য মারধর করতেন তিনি। এছাড়াও, হজ হাকিমের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সাগর পারাপারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আরেক অভিযুক্ত মানব পাচারকারী, সোমালি নাগরিক হাসান কেইদিকেও গ্রেপ্তার করেছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ। কেইদির বিরুদ্ধে অত্যাচার করার পাশাপাশি অভিবাসন প্রত্যাশী নারীদের যৌন হয়রানি, তাদের পরিবারকে টাকার জন্য চাপ দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ রয়েছে।

মানবপাচারের কেন্দ্রে লিবিয়া

উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপগামী অবৈধ অভিবাসনের রুটের প্রাণকেন্দ্র লিবিয়া। হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী এই বিপজ্জনক পথে প্রাণ হারান। অন্যদিকে, লিবিয়ার বিভিন্ন জায়গায় আটক করে রাখা হয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের, যার পেছনে রয়েছে মানব পাচারকারীদের কয়েকটি চক্র বলে অভিযোগ।

গত কয়েক বছরে লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নানা ধরনের পদক্ষেপ নেবার চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে করে বিপজ্জনক পথে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো যায়। কিন্তু বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের মতে, এতে করে অপরাধী চক্রের শিকার হয়ে পড়ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।

২০১৯ সালে বার্তাসংস্থা এপির একটি তদন্ত থেকে জানা যায় কীভাবে জাতিসংঘের নাকের ডগায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও দালাল চক্র দ্বারা পরিচালিত আটককেন্দ্র রয়েছে লিবিয়াতে। এই তদন্তে এই সব কেন্দ্রে ঘটা অসহনীয় অত্যাচার উঠে আসে।

এসএস/কেএম (এপি)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন