জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা সোমবারে জানায় যে ভূমধ্যসাগর থেকে তারা ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে।
উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবার হার এই বছর ব্যাপক আকারে বেড়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে এই পথে রওয়ানা হওয়া থেকে থামায় লিবিয়ান সাগর সীমান্তরক্ষীরা।
উত্তর আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে লিবিয়া এই রুটের মূল কেন্দ্র যেখানে গত সপ্তাহ থেকে আটক করা হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসীদের। আটক কেন্দ্রের ভেতর অসহনীয় অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে । সম্প্রতি আল-মাবানি কেন্দ্রের ভেতরে গুলি চালনার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন অভিবাসী।
লিবিয়ায় বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে বহু অভিবাসী আটক কেন্দ্র থেকে পালিয়েছেন। তার মধ্যেও থামেনি সাগরপথে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার চল।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের লিবিয়া কার্যালয় একটি টুইট করে জানায় সাগরে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের খবর।
রাজধানী ত্রিপলির নৌঘাঁটিতে আনা হয়েছে উদ্ধার হওয়া লাশ। এছাড়া, ১৭৭জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জরুরি চিকিৎসা দেয় ইউএনএইচসিআরের সহযোগী একটি সংস্থা।
জাতিসংঘের মতে, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা রোববার তাদের যাত্রা শুরু করেন লিবিয়ার জুয়ারা ও আলখোমস শহর থেকে।
এসএস/কেএম (রয়টার্স, ইউএনএইচসিআর)