জার্মান সরকারের শরণার্থী প্রকল্পের আওতায় বুধবার লেবানন থেকে রাজধানী বার্লিনে এসে পৌঁছান ৯৫জন সিরীয় শরণার্থী।
রাজধানী বার্লিনে অবস্থিত জার্মান ইন্টিগ্রেশন, এমপ্লয়মেন্ট ও সোশাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই শরণার্থীরা খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে লেবাননে অবস্থান করছিলেন। শরণার্থীরা যে সব পরিবারের সদস্য, সেই সব পরিবার 'বিশেষ নিরাপত্তার দাবি রাখে' বলে জানান মন্ত্রণালয়।
এর কয়েক সপ্তাহ আগে, বার্লিনে এসে পৌঁছান আরেকজন শরণার্থী, যিনি খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে লেবাননে ছিলেন এতদিন। লেবাননে অবস্থিত জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর কার্যালয় এই শরণার্থীদের নিরাপদে জার্মানি এসে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।
আইওএম এই কাজটি করলেও ঠিক কোন ব্যক্তিরা এই বিশেষ নিরাপত্তার যোগ্য, সেই সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিশেষ নিরাপত্তা সাধারণত দেওয়া হয় পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারী ও শিশু। এছাড়া, যে সব তরুণেরা অবৈধ শ্রমিক হিসাবে কাজ করানোর ঝুঁকিতে থাকেন, তারাও এই সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
এই তালিকায় যুক্ত হতে পারেন সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে ঘরছাড়া ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিরাও।
বার্লিনে এই সব শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে জার্মান শরণার্থী কল্যাণ বিভাগ।
নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর বার্লিন
এই মানবিক পদক্ষেপ বিষয়ে বার্লিনের মেয়র মাইকেল ম্যুলার বলেন, "এর আগেও বার্লিন বিপন্ন মানুষের জন্য নিরাপদ স্থান ছিল ও ভবিষ্যতেও তা থাকবে। এসব মানুষে দুর্বিষহ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বাস করেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে অনেকে জীবনের হুমকিও পেয়েছেন।"
তিনি আরো বলেন, "এই সব নারী, পুরুষ, শিশু ও তরুণদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ দেওয়া আমাদের মানবিক কর্তব্য ও সামাজিক দায়িত্ব।"
করোনা পরিস্থিতি ও লেবাননের হালনাগাদ পরিস্থিতি সিরিয়া থেকে সেখানে আশ্রয় নেওয়া জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা আরো কঠিন করে তুলছে বলে মত জার্মান রাজনীতিক এলকে ব্রাইটেনবাখের।
বার্লিন রাজ্যের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর তারা ১০০জন শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে, যেখানে প্রাধান্য পাবে বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা।
মারিয়ন ম্যাকগ্রেগর/এসএস