বেলাররুশের পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সীমান্তে আটকে পড়া অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য ১৮ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দশটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। বাগদাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব ফ্লাইটে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার অভিবাসীকে ইরাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
রোববার ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত দুই মাসে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সাথে থাকা বেলারুশ সীমান্তে আটকা পড়া প্রায় ৪ হাজার ইরাকি অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনলায়ের কূটনৈতিক প্রধান ফুয়াদ হুসেন লিথুয়ানিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিসের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৮ নভেম্বর থেকে বেলারুশ থেকে মোট দশটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।”
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আল-সাহাফ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, “গত দুই মাসে মোট ৩,৮১৭ জন ইরাকি অভিবাসীকে বেলারুশ থেকে এবং ১১২ জনকে লিথুয়ানিয়া থেকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।”
প্রত্যাবাসন ফ্লাইটগুলি বেলারুশ থেকে বাগদাদে আসার আগে প্রথমে ইরাকের কুর্দিস্তানে অবতরণ করে। কারণ কুর্দিস্তান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক বেলারুশ সীমান্তে আটকে আছে।
আহমেদ আল-সাহাফের মতে, “অনেক ইরাকি অভিবাসী এখনও বেলারুশে আটকে আছেন, কিন্তু কঠিন আবহাওয়া এবং সীমান্তের জটিল পরিবেশের কারণে আশানুরূপভাবে অভিবাসীদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।”
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাজিমির সাথে দেখা করে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস বলেন, “নতুন ধারার চিন্তার সমন্বয়ে ইরাকের সাথে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় লিথুয়ানিয়া।”
গত গ্রীষ্ম থেকে হাজার হাজার অভিবাসী লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া বা পোল্যান্ডের সাথে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেলারুশ সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে। যাদের বেশিরভাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক থেকে আসা।
সীমান্তে চলমান এই অভিবাসন সংকট নিয়ে ইইউ এবং পশ্চিমা দেশগুলো বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সরকারকে অভিযুক্ত করেছে। তাদের মতে, বেলারুশের সরকারের বিরুদ্ধে দেয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে অভিবাসীদের ভিসা প্রদানের মাধ্যমে ইউরোপীয় সীমান্তকে অস্থিতিশীল করতে কৃত্রিমভাবে এই অভিবাসন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ নাকচ করে আসছে মিনস্ক।
এমএইউ/আরআর