উত্তর ফ্রান্সের বিভিন্ন মহাসড়কে মানব পাচার রোধে যুক্তরাজ্যগামী ট্রাক ও লরিগুলোতে ফরাসি পুলিশের অভিযানের একটি দৃশ্য। ছবি: পিকচার এলায়েন্স
উত্তর ফ্রান্সের বিভিন্ন মহাসড়কে মানব পাচার রোধে যুক্তরাজ্যগামী ট্রাক ও লরিগুলোতে ফরাসি পুলিশের অভিযানের একটি দৃশ্য। ছবি: পিকচার এলায়েন্স

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে অবৈধ মানবপাচাররে সহায়তা করার অভিযোগে ২৪ ইরাকি কুর্দি নাগরিককে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছে উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের শহর রেনের আদালত। তাছাড়া দণ্ডপ্রাপ্তদের উপর ফ্রান্সে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে৷

প্রায় দুই বছর ধরে চলা দীর্ঘ তদন্ত কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিভন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। 

১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বিচার কার্যক্রম অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো।

ইরাক থেকে কুর্দিদের পরিচালিত একটি বড় মানবপাচার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে ভারি ট্রাক অথবা লরিযোগে অভিবাসীদের পাচারে সহায়তা করত বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। 

পড়ুন>ইংল্যান্ডে ৩৯ অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় এক পাচারকারীর কারাদণ্ড

তবে রেনের আদালত অভিযুক্তদেরকে সরাসরি পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেনি। তাদেরকে অভিবাসীদের একত্রিত করা, অনুমতি ছাড়া ফ্রান্স ও ইউরোপে অবস্থান করাসহ পাচারে বিভিন্নভাবে সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাণ্ড দেওয়া হয়৷ তাছাড়া সাজা ভোগের পর তাদের উপর ফ্রান্সে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে আদালত জানায়৷  

তবে শুনানি চলাকালে ২৪ অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জন করোনা মহামারিজনিত স্বাস্থ্যবিধির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আদালতের রায় শুনছিলেন। 

পড়ুন>>৭ বাংলাদেশি মৃত্যুর ঘটনায় এক পাচারকারী আটক

এছাড়া রেনের আদালত সম্প্রতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উত্তর ফ্রান্স থেক সার্থ শহরে সংগঠিত একটি মানবপাচারের মামলায় পলাতক সাত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা এসব অভিযুক্তদের খুঁজে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে ফরাসি পুলিশ। 

সংঘবদ্ধ পাচার নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর ধরে সাঁড়াশি অভিযান এবং একের পর এক রায় দিচ্ছে ফরাসি আদালত। 

অনেক ক্ষেত্রে এসব মামলায় এখন আগের চেয়ে বেশ দ্রুত রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।

পড়ুন>>গ্রিসে চোরাচালান নেটওয়ার্ক বন্ধে ইউরোপোলের অভিযান

ইউরোপজুড়ে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে সামনে রাখার কথা বারবার বলে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ। এরই ধারাবিহকতায় আসন্ন ফরাসি নির্বাচনেও ইশতেহারে একই প্রস্তাবনা রেখেছেন বর্তমান এই রাষ্ট্রপতি। 


এমএইউ/আরআর



.


 

অন্যান্য প্রতিবেদন