নাইজারের বিভিন্ন মরুভূমিতে পাচারকারীরা প্রায়শই অভিবাসীদের ফেলে চলে যায়। ছবি: এলার্ম ফোন সাহারা
নাইজারের বিভিন্ন মরুভূমিতে পাচারকারীরা প্রায়শই অভিবাসীদের ফেলে চলে যায়। ছবি: এলার্ম ফোন সাহারা

আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং স্থানীয় নাগরিক সুরক্ষা দলের সাহায্যে গত সপ্তাহে উত্তর নাইজারের মরুভূমি থেকে ২৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ কোনো খাবার ও পানি ছাড়াই নাইজেরীয় এই অভিবাসীদের মরুভূমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল পাচারকারীরা৷

আইওএম মঙ্গলবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ২৫ নাইজেরীয় অভিবাসীকে উত্তর নাইজারের মরুভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাদেরকে গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেয়া হয়েছিল৷ অভিবাসী দলটিতে নারী ও শিশুও ছিল৷



আইওএম জানায়, নাইজারের নাগরিক সুরক্ষা দলের সাহায্যে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল ২ এবং ৩ এপ্রিল অভিবাসী দলটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল৷ অভিবাসীরা জানান, তিন দিন ধরে কোনো খাবার ও পানীয় মেলেনি তাদের৷

উদ্ধার হওয়া অভিবাসী দলটির চূড়ান্ত গন্তব্য কোন দেশ,তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে লিবিয়ার নিকটবর্তী নাইজার সংলগ্ন টেনেরে মরুভূমিতে প্রায়ই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়৷

পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা অসংখ্য অভিবাসী নাইজারের সাহারা মরুভূমির নিকটবর্তী শহর আগাদেজ পেরিয়ে আসেন৷ এরপর মরুভূমির প্রবেশ পথে এসে চোরাকারবারীদের খোঁজ করেন৷ এই নেটওয়ার্কগুলির মাধ্যমে তারা লিবিয়া উপকূল হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷


মানচিত্রে নাইজারের টেনেরে মরুভূমি। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
মানচিত্রে নাইজারের টেনেরে মরুভূমি। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস



মরুভূমি এলাকায় প্রায়ই অভিবাসীদের যানবাহন ভেঙে পড়া বা দুর্ঘটনার খবর আসে৷ নাইজারের সামরিক চেকপোস্ট টহলে ধরা পড়ার ভয়ে পাচারকারীরা অভিবাসীদের রেখে পালিয়ে গিয়েছে, এমন হরহামেশাই ঘটে৷

আইওএম-এর তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কোভিড -১৯ মহামারির সময়ে লিবিয়া-নাইজার সীমান্তে মাদামার কাছে ২৫০ জনেরও বেশি পশ্চিম আফ্রিকান অভিবাসীকে মরুভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল৷ তাদেরও ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল পাচারকারীরা৷ 


এমএইউ/আরকেসি





















 

অন্যান্য প্রতিবেদন