বসনিয়া ও হ্যারৎসেগোভিনার উনা-সানা অঞ্চল দিয়ে অনিয়মিত উপায়ে অস্ট্রিয়া প্রবেশের প্রচলিত পথে অভিবাসীদের আগমন কমেছে৷ তার বদলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে বলকান রুটে অভিবাসীরা নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছেন৷
বসনিয়া হয়ে ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছানো অভিবাসীদের কাছে জনপ্রিয় একটি রুট৷ এর মধ্যে বড় একটি অংশ পাড়ি দেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল উনা-সানা হয়ে৷ তবে বলকানের এই পথে সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসী আগমন কমেছে৷ দুই দেশের প্রশাসন মনে করছে কড়াকড়ি ও নজরদারির কারণে তারা এখন নতুন রুট খুঁজে নিচ্ছে৷
প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী বসনিয়া ও হ্যারৎসেগোভিনাতে বর্তমানে দুই হাজার ৮০০ অনিয়মিত অভিবাসী বসবাস করছেন৷ পুলিশের বরাতে ক্রোয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা হিনা নিউজ জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের বড় একটি অংশই আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো থেকে আগত ৷ এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ তিনটি সরকারি রিসেপশন সেন্টার বা সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন৷ ১৮০০ জনের বেশি বসবাস করছেন বিহাক, কাজিন এবং ভেলিকা ক্লাদুসায় অস্থায়ী ব্যবস্থায়৷ ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত বরাবর তাঁবু দিয়ে তৈরি বেশ কিছু ক্যাম্প গড়ে উঠেছে, সেখানেও অভিবাসীরা বসবাস করছেন৷
পড়ুন: বসনিয়ায় অভিবাসী পরিস্থিতি: বাংলাদেশের ভিক্ষুকের জীবনও অনেক ভালো
সীমান্তে নজরদারি
বসনিয়ার ও হ্যারৎসেগোভিনার উনা-সানা ক্যান্টনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদনান বেগানভিচ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন করে যাতে অভিবাসী আসতে না পারে সেজন্য তারা সড়কে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে উনা-সানা ক্যান্টনে আসা অভিবাসীদের তুলনায় চলে যাওয়াদের সংখ্যা বেশি৷ যারা ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেনি তারা সারায়েভো বা সার্বিয়াতে চলে যাচ্ছে৷ সেখান থেকে তারা পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য অন্য পথের সন্ধান করছে৷’’
তিনি জানান, ২০২১ সালে কর্তৃপক্ষ ১৭ হাজার অভিবাসীকে বাধা দিয়েছে৷ এ কারণেই এই পথে ক্রোয়েশিয়ায় পৌঁছানোর সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷
এফএস/এআই (ইউরোএক্টিভ, হিনা)
পড়ুন: বসনিয়ায় বৈধ বাংলাদেশি নির্মাণকর্মী, নতুন সম্ভাবনা