অবৈধ অভিবাসনে সাহায্য করার অভিযোগে রোমে অভিবাসীদের সহায়তাকারী একটি সংস্থার প্রধান ১৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন৷ ‘বাওবাব এক্সপেরিয়েন্স’ নামের সংস্থাটির সভাপতি আন্দ্রেয়া কোস্তা সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন৷
২১ এপ্রিল সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে আন্দ্রেয়া বলেন, ‘‘সাড়ে ছয় থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের ঝুঁকি রয়েছে আমার৷ আমি বুঝতেই পারছি না আমি কী অন্যায় করেছি৷ অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, অল্পবয়সি অভিবাসীদের রোম থেকে গেনোয়া যাওয়ার টিকিট কেটে দিয়েছি৷’’
২০০৫ সাল থেকে অভিবাসীদের সাহায্য করছে এনজিওটি৷ আন্দ্রেয়া এবং আরো একজন কর্মীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ এনেছে পুলিশ৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা অর্থ সংগ্রহ করে ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর কয়েকজন অভিবাসীকে রোম থেকে গেনোয়ায় যেতে সাহায্য করেন৷ গেনোয়া থেকে লিগুরিয়া সীমান্তের ভেন্টিমিগলিয়া শহরের রেড ক্রস শিবিরে পৌঁছাতে সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে আরো একজন স্বেচ্ছাসেবীর বিরুদ্ধে৷ ৩ মে রোমের আদালতে এই মামলাগুলির শুনানি হবে৷
মামলার সমর্থনে ‘কোনো প্রমাণ নেই’: আইনজীবী
এনজিওটির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ফ্রান্সেস্কো রোমিও সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘এই মামলাটি মূলত মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের সন্দেহের ভিত্তিতে করা হয়েছে৷ অভিবাসীদের আর্থিক লাভের জন্য পাচার করা হয়েছিল, এমন ধারণা থেকে এই মামলা করা হয়েছে৷’’ তার দাবি, এনজিওটির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই৷ ফ্রান্সেসকো জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল৷ সেখানেও মানবপাচার কিংবা আর্থিক লাভ সংক্রান্ত কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলেনি৷ আন্দ্রেয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অবস্থাও ছিল শোচনীয়৷ তদন্তকারীরা কোনো প্রমাণ পাননি৷ এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই৷

আন্দ্রেয়া বলেন, ‘‘অভিবাসীদের সহায়তাপ্রদানকারী সব সংস্থা, বিশেষ করে সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান চালানো এনজিওগুলি আসলে পাচারকারীদের এক নম্বর শত্রু৷
তার কথায়, ‘‘আমরা সবেমাত্র ইউক্রেন এবং মলদোভার সীমান্ত থেকে ফিরে এসেছি৷ ইউক্রেনীয় মা ও শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি৷ তখন আমরা পাঁচটি দেশের সীমান্ত পেরিয়েছি৷ কর্তৃপক্ষ হাসিমুখে সাহায্য করেছেন৷ এর সঙ্গে অবৈধ অভিবাসনের এ জাতীয় অভিযোগ কিছুতেই মেলে না৷’’
আরকেসি/এফএস