আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চায় ডেনমার্ক। এ বিষয়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সংগে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ডেনর্মাক সরকার।
আশ্রয়আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময় আশ্রপ্রার্থীকে তৃতীন কোনো দেশে স্থানান্তরিত করার বিষয়টি আর নতুন নয়। গত মাসে এ বিষয়ে রুয়ান্ডার সাথে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্য।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেনমার্কের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নাও হতে পারে। কেননা আশ্রয়প্রার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটসের (ইসিএইচআর) লঙ্ঘন।
ডয়চেল্যান্ডফুংককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ফ্রাংক ড্যুভেল বলেন, ইউরেপিয়ান ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক ধারা অনুযায়ী, আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তির যে কোনো পরিস্থিতিতে ইউরোপের সীমান্তে আসার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে আশ্রয় চাওয়ার অধিকার রয়েছে।
জার্মানির ওসনাব্র্যুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আরো বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে ডেনমার্কের এই পরিকল্পনা মূলত ইউরোপের চলমান যে প্রবণতা তার প্রতিফলন।
তিনি আরো বলেন, গত দুই দশক ধরে ইউরোপের অনেক দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় দেশে পাঠাচ্ছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে লিবিয়া, মরক্কো ওবং তুরস্কের মতো দেশগুলোকে ব্যহার করছে ইউরোপ।
তার মতে, রুয়ান্ডায় পাঠানোর ডেনর্মাকের এই পরিকল্পনা ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস আটকে দিতে পারে।
তাছাড়া, আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর চেষ্টা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইনের লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইউনিয়নের সদস্যপদ বিষয়ক যে বিশেষ ধারায় ডেনমার্ক যুক্ত সে ধারা অনুযায়ী দেশটি ইইউর এই নীতিমালা মেনে চলতে বাধ্য নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুন মাসে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে আশ্রয়প্রদান বিষয়ে নতুন আইন পাশ হয়। আইনে বলা হয়, আশ্রয়চাওয়া ব্যক্তিকে তার আবেদন যাচাই বাছাইয়ের সময় তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হতে পারে।
আরআর/আরকেসি (ইপিডি)