মিকোলাইভে রুশ হামলায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি৷ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল৷ ছবি:আনসা
মিকোলাইভে রুশ হামলায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি৷ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল৷ ছবি:আনসা

ইউক্রেনের যুদ্ধপীড়িত এলাকায় আটককেন্দ্রে থাকা অভিবাসীদের মুক্তি দিতে অনুরোধ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) ৷ অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের মিকোলাইভের একটি বন্দিশালায় আটকে রাখা হয়েছে, জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডাব্লিউ৷

দক্ষিণ ইউক্রেনের মিকোলাইভ এলাকাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, তাই অভিবাসীদের সেখানকার আটক কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷ ৬ মে একটি বিবৃতিতে তারা জানায়, একাধিক অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থী মিকোলাইভের বন্দিশালায় রয়েছেন৷

দক্ষিণ ইউক্রেনের অন্য একটি বন্দিশালাতেও অভিবাসীদের নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ বিবৃতিতে অনুরোধ করা হয়েছে, ‘দ্রুত ওই অভিবাসীদের ইউক্রেন মুক্তি দিক, নিরাপদে প্রতিবেশী দেশে পৌঁছাতে দেয়া হোক৷’

দুই মাস ধরে আটক, ক্ষুধার জ্বালা, আতঙ্ক

এইচআরডাব্লিউ-তে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কর্মরত নাদিয়া হার্ডম্যান৷ নাদিয়া বলেন, ‘‘যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসীদের আটকে রাখা হয়েছে৷ তারা মারাত্মক ভয়ের মধ্যে রয়েছে৷ এইভাবে ইউক্রেনে তাদের আটকে রাখার কোনো মানে নেই৷’’

জাহারাইভিচি মাইগ্রেন্ট অ্যাকোমোডেশন অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এইচআরডাব্লিউ৷ পরে মিকোলাইভে আটকে থাকা দুই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথাও বলে তারা৷ তাদের একটি অস্থায়ী আটক কেন্দ্রে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানা যায়৷

এইচআরডব্লিউ তার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, অভিবাসীদের বক্তব্য, রুশ আক্রমণের কয়েক মাস আগে অনিয়মিতভাবে পোল্যান্ডে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা অথবা ভিসা সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য আটক করা হয়েছিল৷এইচআরডব্লিউ-র দাবি, যুদ্ধের কারণে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে অভিবাসীদের৷ অথচ, তাদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্ব

এইচআরডাব্লিউ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ইউক্রেনের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং অভিবাসন সংক্রান্ত কাজে অর্থায়ন করেছে৷ নাদিয়া বলেন, ‘‘এখন ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি, তাই সে দেশে আটকে থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি, নিরাপদে ভ্রমণের বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেখা উচিত৷ আর্থিক বিষয়গুলিও তাদেরই আওতায় পড়ে৷’’

আরকেসি/কেএম (আনসা)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন