উত্তর ফ্রান্সের লুন সৈকতের নিকটের এই অস্থায়ী শিবিরটি প্রায় ৫০০ অভিবাসী বাস করত। বুধবার ২৫ মে ক্যাম্পটি ভেঙে দিয়েছে ফরাসি পুলিশ। ছবি: মেহেদি শেবিল/ইনফোমাইগ্রেন্টস
উত্তর ফ্রান্সের লুন সৈকতের নিকটের এই অস্থায়ী শিবিরটি প্রায় ৫০০ অভিবাসী বাস করত। বুধবার ২৫ মে ক্যাম্পটি ভেঙে দিয়েছে ফরাসি পুলিশ। ছবি: মেহেদি শেবিল/ইনফোমাইগ্রেন্টস

উত্তর ফ্রান্সের গ্রন্দ সান্থ অঞ্চলে একটি অভিবাসী অস্থায়ী শিবির ভেঙে দিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। ২২ মে শিবিরটিতে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। গুলিতে একজন অভিবাসী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকাটিতে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রেফেকচুর দ্যু নর্দ জানিয়েছে, গ্রন্দ সান্থ এলাকায় লুন সৈকতের নিকটে অবস্থিত অভিবাসী শিবিরে রোববার সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ২৫ মে স্থানীয় সময় ভোরে অস্থায়ী শিবিরটি উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ফরাসি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, রোববার শিবিরে অভিবাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের মূল কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে এনজিওগুলোর মতে, পাচারকারীরা ক্যাম্পে তাদের আধিপত্য ধরে রাখতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছিল। 

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির একজন প্রতিবেদক বলেন, “বুধবার ভোরে ফরাসি বিশেষ পুলিশ সিআরএস শিবিরের প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে। শিবিরটি থেকে অভিবাসীদের বিভিন্ন কাঠামোতে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ভোরেই একটি বাস আনা হয়। অবশ্য একদম ভোর থেকেই অভিবাসীদের ছোট একটি দল উচ্ছেদ অভিযানের আঁচ পেয়ে পায়ে হেঁটে ক্যাম্প ছেড়ে যেতে শুরু করেছিল।”

লুন সৈকতের নিকটে অবস্থিত ক্যাম্পটিতে ২২ মে থেকে ২৪ মে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: অভিবাসন সংস্থা আদ্রা
লুন সৈকতের নিকটে অবস্থিত ক্যাম্পটিতে ২২ মে থেকে ২৪ মে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: অভিবাসন সংস্থা আদ্রা


মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের সম্মিলিত কাঠামো হিউম্যান রাইটস অবজারভার (এইচআরও) এর কর্মী লিয়া ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে সিআরএস এর ১৮টি ভ্যান গণনা করি। এছাড়া সেখানে পুলিশের আরও একটি বড় বাহিনী ছিল।”

এই অধিকার কর্মী উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত থাকলেও কর্তৃপক্ষ তাকে ক্যাম্প থেকে বেশ দূরত্বে রেখেছিল৷

তিনি বলেন, “উচ্ছেদ অভিযান বেশ শান্ত ছিল, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি স্বাভাবিক অভিযানগুলোর তুলনায় পুলিশ অনেক বেশি সশস্ত্র ছিল। পুলিশ সদস্যদের প্রায় সকলেই আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জ্বিত ছিল। সব উচ্ছেদ অভিযানেই পুলিশ সদস্য সক্রিয় থাকলেও এই অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।” 

এএফপি-এর মতে, “ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার পরপরই শিবিরের পাশে আবারও অভিবাসীদের একটি বড় দল জমায়েত হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই ইরাকি কুর্দি পুরুষ অভিবাসী। এনজিও ও সংস্থাগুলো অভিবাসীদের মধ্যে খাবার পানি এবং সকালের নাস্তা পরিবেশন করেছিল।”


এমএইউ/এআই


 

অন্যান্য প্রতিবেদন