উত্তর ফ্রান্সে বাড়ছে ট্রেনের ধাক্কায় অভিবাসী নিহত হওয়ার ঘটনা। ছবি: উইকিমিড়িয়া
উত্তর ফ্রান্সে বাড়ছে ট্রেনের ধাক্কায় অভিবাসী নিহত হওয়ার ঘটনা। ছবি: উইকিমিড়িয়া

উত্তর ফ্রান্সের কালেতে একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় এক অভিবাসী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ছয় মাসে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন অভিবাসীর মৃত্যু হল। যুক্তরাজ্যে যেতে অপেক্ষারত অনেক অভিবাসী উত্তর ফ্রান্সে নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় এনজিও ও অভিবাসন সংস্থাগুলো।

২৯ মে রোববার সকার ৬টার দিকে উত্তর ফ্রান্সের গ্রন্দ-সান্থ থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় একজন অভিবাসী নিহত হয়েছেন। 

“আর্সেলর-মিত্তাল” লোগো সম্বলিত পণ্যবাহী ট্রেনটি রাং-দ্যু-ফ্লিয়ের্সে যাওয়ার কথা ছিল। নিহত অভিবাসী স্থানীয় সুপার শপ ইন্টার মাখসের পেছনে অবস্থিত ট্রেনের লাইনের পাশে অবস্থান করছিলেন। 

রোববার সন্ধ্যায় বোলোন-সুর-মের সহকারী প্রসিকিউটর প্যাট্রিক লেলিউ নিশ্চিত করেছেন, “নিহত অভিবাসী একজন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তিনি ট্রেন লাইনের পাশে একটি স্লিপিং ব্যাগে ঘুমাচ্ছিলেন।”

ট্রেন চালক জরুরি ব্রেক ব্যবহার করে থামার চেষ্টা করলেও সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে পারেননি।  

পড়ুন>>গুলি বিনিময়ের ঘটনায় অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ

স্থানীয় প্রসিকিউটর আরও জানান, “ট্রেনের ধাক্কায় এই অভিবাসী মারাত্মক আহত হন৷ পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ উক্ত অভিবাসীকে মৃত ঘোষণা করে।” 

সোমবার অথবা মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত ঘটনায় ট্রেনের চালককে অত্যন্ত শোকাহত অবস্থায় দেখে গেছে। স্থানীয় জরুরি পরিষেবা দপ্তর ট্রেন চালককে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে এবং পুলিশ তার বক্তব্য শুনবে। উত্তর ফ্রান্সের স্থানীয় দৈনিক লা ভোয়া দ্যু নর্দের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেনের চালক যাত্রাটি শেষ করে তার দিনের কাজ শেষ করার কথা ছিল। 

আরও পড়ুন>>নাবালকদের অধিকার আদায়ে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ফরাসি বেকারি মালিক

রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষ এসএনসিএফের একটি দল উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ফরেনসিক শাখা এবং একজন প্যাথলজিস্টকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। 

দূর্ঘটনার পর আশেপাশের সংযোগস্থল অবরুদ্ধ করে প্রায় চার ঘন্টা ধরে ট্রেনটি অচল ছিল। সকাল ১১টা নাগাদ আবারও ট্রেন সেবা শুরু করা হইয়েছিল। 

এ নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে একই রকম ঘটনায় মারা যাওয়া তৃতীয় ব্যক্তি। এর আগে গত বছরের নভেম্বর এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্য দুই অভিবাসী একই রেললাইন ধরে হাঁটার সময় স্থানীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন। 

মূলত এই রেল লাইন ধরে কালেতে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যে যেতে ইচ্ছুক অনিয়মিত অভিবাসীদের বেশ আনাগোনা থাকে। রেললাইনের পাশ ঘেঁসে রয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ক্যাম্পও। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রায়শই এসব শিবির ভেঙে দেয়। 



এমএইউ/আরআর ( লা ভোয়া দ্যু নর্দ)


 

অন্যান্য প্রতিবেদন