গত ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ওশান ভাইকিংয়ের পরিচালিত উদ্ধার অভিযানের একটি দৃশ্য। ছবি: এসওএস মেডিটারানে
গত ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ওশান ভাইকিংয়ের পরিচালিত উদ্ধার অভিযানের একটি দৃশ্য। ছবি: এসওএস মেডিটারানে

ভূমধ্যসাগরে মানবিক উদ্ধারকাজে নিয়োজিত জাহাজ ওশান ভাইকিং সমুদ্রে ঝুঁকিতে থাকা ২৯৪ অভিবাসীকে নিয়ে ইটালির সিসিলিতে অবতরণ করার সবুজ সংকেত পেয়েছে। নোঙর করতে সংকেত না পাওয়ায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা প্রায় দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে জাহাজটিতে আটকে ছিলেন। উল্লেখ্য গত ১৯ মে থেকে ২৩ মে পাঁচ দিনে পৃথক অভিযানে এসব অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

২৯ মে রোববার এসওএস মেডিটারান টুইটারে জানায়, “উদ্ধার জাহাজ ওশান ভাইকিংয়ে থাকা ২৯৪ জন উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের নিয়ে ইটালীয় সিসিলি দ্বীপের পোজালো বন্দরে নোঙর করার অনুমতি পেয়েছে।” 

ইউরোপীয় এই বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত উদ্ধারকারীরা জানান, দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা সময়গুলো ছিল বেশ কষ্টের। 

এর আগে রবিবার এনজিওটি টুইট করে জানিয়েছিল, উদ্ধারকারীদের মধ্যে একজন ক্লান্তি ও হতাশার কারণে জাহাজ থেকে লাফ দিয়েছিল৷ পরে তাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়৷ 




এসওএস মেডিটারানে আরও জানায়, “রোববার জাহাজে থাকা একজন গর্ভবতী নারীকে তার স্বামীসহ চিকিৎসার কারণে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। দশ দিনের বেশি সময় ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকা, চাপ এবং জাহাজের কম্পনের ফলে এই নারীর অবস্থাকে সঙ্কটজনক করে তুলেছিল।”

এনজিওটির দেয়া তথ্য অনুসারে, ২৯৪ জন উদ্ধারকারীদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল৷ এর রয়েছে তিন মাস বয়সের একটি শিশু। 

মে মাসের প্রথম দিকে ওশেন ভাইকিং উদ্ধারকারী জাহাজ ইতিমধ্যে সিসিলিতে একই সংখ্যক উদ্ধারকৃত অভিবাসীকে নামিয়েছে।



উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছতে ব্যবহৃত মধ্য-ভূমধ্যসাগরীয় পথটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন রূটগুলোর মধ্যে একটি।

চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবিতে প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২২ সালে মধ্য ভূমধ্যসাগরে আনুমানিক মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। গত বছর ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ১,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

তবে ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া অভিবাসীদের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করছে এনজিওগুলো।

ভূমধ্যসাগরে বর্তমানে কোন সরকারি উদ্ধারকারী জাহাজের কার্যক্রম নেই। 

পড়ুন>> ভূমধ্যসাগর: অভিবাসীদের মধ্যে শিশুসহ অনেকেই নির্যাতনের শিকার

বর্তমানে সেখানে ওশান ভাইংকিং, সী আই-৪, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এর জিও ব্যারেন্টস এবং সী-ওয়াচ পরিচালিত একটি জাহাজ সক্রিয় রয়েছে। 

কিন্তু এসব জাহজের উদ্ধার সক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। প্রায়ই নোঙরের জন্য অনুমতি পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় একটি উদ্ধার অভিযান শেষ করতেই অনেক সময় লেগে যায়। 


এমএইউ/আরআর













 

অন্যান্য প্রতিবেদন