জার্মান এনজিও সী-ওয়াচের নতুন উদ্ধার জাহাজ "অরোরা"। ছবি: সী-ওয়াচ
জার্মান এনজিও সী-ওয়াচের নতুন উদ্ধার জাহাজ "অরোরা"। ছবি: সী-ওয়াচ

খ্যাতনামা জার্মান বেসরকারি সংগঠন সী-ওয়াচের নতুন মানবিক উদ্ধারকারী জাহাজ “অরোরা” সোমবার লিবিয়ার উপকূল থেকে ৮৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারের মাত্র কয়েকঘণ্টা পরই অভিবাসীদের নিয়ে ইটালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছাতে সক্ষম হয় নতুন জাহাজটি।

সী-ওয়াচ সোমবার ভোরে মধ্য ভূমধ্যসাগর থেকে এক নারী ও তিন শিশুসহ ৮৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।

সমুদ্রে ঝুঁকিতে থাকা অভিবাসীদের উদ্ধারে সহায়তাকারী প্লাটফর্ম “এলার্ম ফোন” এই বিষয়ে সবার আগে অভিবাসন সংস্থা রেস্কশিপকে জানায় যে ভূমধ্যসাগরের অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অঞ্চল (এসএআর) জোনে একটি অভিবাসী বোঝাই নৌকা অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। রেস্কশিপের উদ্ধারকারী জাহাজ “নাদির” তখন অঞ্চলটির কাছাকাছি ছিল। 


পশ্চিম লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটির যাত্রীদের পরবর্তীতে যৌথ অভিযানে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সী ওয়াচের নতুন জাহাজ “অরোরা” এবং রেস্কশিপের উদ্ধারকারী জাহাজ “নাদির”। 

টুইটারে রেস্কশিপ বলেছে, “নৌকায় ইতিমধ্যে পানি প্রবেশ করেছিল। যার ফলে সমুদ্রে নৌকাটির অবস্থান ঝুঁকিতে ছিল। অবশ্য এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও অভিবাসীরা অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল।”

উদ্ধারের কয়েকঘণ্টা পরেই লাম্পেদুসায় অবতরণ

উদ্ধার অভিযানের সময় রেস্কশিপের জাহাজ নাদির থেকে অভিবাসীদেরকে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়। অভিবাসীদের সমুদ্র থেকে দ্রুত উদ্ধার করার পর ইটালীয় দ্বীপ লাম্পেদুসা বন্দরে নামার অনুমতি পায় অরোরা। সাধারণত উদ্ধারের পর এত দ্রুত সময়ে নোঙরের জন্য নিরাপদ বন্দর খুঁজে পাওয়ার ঘটনা বিরল।

সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার কার্যক্রমের পর নিরাপদ বন্দরে নামার অনুমতি পেতে ফরাসি এনজিও এমএসএফের উদ্ধার জাহাজ জিও ব্যারেন্টস এবং আরেক জার্মান এনজিও এসওএস মেডিটারানের উদ্ধার জাহাজ ওশান ভাইকিংকে প্রায় ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সাগরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। 

দ্রুতগতির উদ্ধার জাহাজ “অরোরা”

ভূমধ্যসাগরে উদ্ধারের জন্য বিশেষভাবে রূপান্তরিত ১৪ মিটার লম্বা নতুন উদ্ধার জাহাজ অরোরা বেসামরিক বহরে থাকা দ্রুততম জাহাজগুলির মধ্যে একটি।


নতুন জাহাজটি ওপেন আর্মস বা ওশান ভাইকিংয়ের তুলনায় দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল সংখ্যক লোককে উদ্ধারের জন্য উপযুক্ত নয়। জাহাজটিতে মাত্র ছয়জন সদস্য রয়েছেন এবং সেটি যাত্রীদের খারাপ আবহাওয়া কিংবা সূর্যের তীব্র রোদ থেকে সুরক্ষা দেয় না।

অরোরা ছাড়াও সী-ওয়াচের অন্য দুটি উদ্ধার জাহাজ হলো সী-ওয়াচ ৩ এবং সী-ওয়াচ ৪। এছাড়া এনজিওটির নিজস্ব নজরদারি বিমান সী-বার্ডকেও ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার কাজে ব্যবহার করা হয়। 


এমএইউ/এআই


 

অন্যান্য প্রতিবেদন