নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের অভিবাসীরা ২০২১ সালে নিজ নিজ দেশে ৬০ হাজার পাঁচশ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়৷
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের তুলনায় শতকরা আট দশমিক তিন ভাগ বেড়েছে৷
মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর সুবিধা থাকার কারণে প্রবাসীরা নিজ নিজ দেশে বেশি অর্থ প্রেরণ করতে পেরেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷
আর প্রবাসীদের পাঠানো এই টাকায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ৮০ কোটি পরিবার উপকৃত হবেন বলে আশা করা হয়৷
সংস্থাটির ধারণা, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাঠানো আরো বাড়তে পারে৷ জাতিসংঘের অনুমান, ২০২২ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রবাসীদের পাঠানো টাকার পরিমাণ ৬৩ হাজার কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে৷
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ পাঁচ লাখ ৪০ হাজার কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে, যা আফ্রিকার দেশগুলোর মোট জিডিপির দ্বিগুণ৷
পড়ুন: ২০২১ সালে সপ্তম শীর্ষ রেমিট্যান্স গ্রহীতা বাংলাদেশ
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট হংবো বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা নানাদিক থেকেই এই দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে৷
তিনি বলেন, ‘‘রেমিট্যান্সের ফলে দারিদ্র্য দূর হয়, খাবার সংকট দূর হয়৷ তাছাড়া এই দেশগুলোর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নেও রেমিট্যান্সের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে৷’’
তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে সংস্থাটি৷
পড়ুন: ২০২১ সালে ইটালি থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স
কারণ হিসেবে বলা হয়, মধ্য এশিয়ার অনেক দেশই রাশিয়া থেকে যাওয়া রেমিট্যান্সের উপর নির্ভরশীল৷ কিন্তু যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়ান মুদ্রা, অর্থাৎ রুবলের দরপতন এবং রাশিয়ার উপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রেমিট্যান্স পাঠানোর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে৷
আরআর/এসিবি (এএফপি)