চ্যানেলে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় টোকে চুক্তি। ছবি: মেহেদী শেবিল/ইনফোমাইগ্রেন্টস
চ্যানেলে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় টোকে চুক্তি। ছবি: মেহেদী শেবিল/ইনফোমাইগ্রেন্টস

২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার প্রচেষ্টা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যানে লন্ডন এবং প্যারিসের সীমান্ত পরিচালনা নীতির ব্যর্থতার চিত্র উঠে এসেছে বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।

ফরাসি উপকূল থেকে অবৈধভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের সংখ্যা বছরের প্রথমার্ধে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেলে ৭৭৭টি অবৈধ সমুদ্র পারাপারের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব যাত্রায় ২০,১৩২ জন অনিয়মিত অভিবাসী বিভিন্ন ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে উত্তর ফ্রান্সের কালে এবং ডানকের্কের মধ্যবর্তী উপকূল থেকে অস্থায়ী নৌকায় সমুদ্র পারাপারের চেষ্টা রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছেছিল। যেখানে ৫২,০০০ অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌছানোর চেষ্টা করেছিল। যার মধ্যে ২৮,০০০ ব্যক্তি সফল হয়। 

পড়ুন>>যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার নেপালি কর্মীরা

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, “ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী ৬১ দশমিত ৩৯ শতাংশ অবৈধ সমুদ্র পারাপারের চেষ্টা আটকে দিয়েছে। যা ২০২১ সালের হারের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০,০৯০ ব্যক্তিকে উপকূল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি।”

সমুদ্রপথে এসব অনিয়মিত পারাপার প্যারিস এবং লন্ডনের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি নিয়মিত কারণ হয়ে উঠেছে। চ্যানেলে অভিবাসী পারাপার প্রতিরোধ করতে কয়েক বছর ধরে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য দুই দেশের সীমান্ত যথেষ্ট সামরিকীকরণ করেছে৷

উত্তর ফ্রান্সে অবস্থিত ইউরোটানেলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। অভিবাসীদের কাছে এক সময় বিপুল জনপ্রিয় হওয়া এই পয়েন্টটি বর্তমানে রক্ষিত। চ্যানলের সাথে সংযুক্ত এই পথটি অভিবাসীদের জন্য প্রায় দুর্গম হয়ে উঠেছে। 

আরও পড়ুন>>আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আদালতের বাধা, কী করবে যুক্তরাজ্য

এ বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে ইংলিশ চ্যানেল পার হতে গিয়ে সুদান থেকে আসা এক যুবকের মৃত্যু হয়। চ্যানেল এবং উত্তর সাগর মেরিটাইম প্রেফেকচুর অনুযায়ী, ২০২১ সালে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।


এমএইউ/আরআর


 

অন্যান্য প্রতিবেদন