তুরস্কে অভিবাসীদের গাড়ি লক্ষ্য করে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ৷ গুলিতে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷
ভ্যান হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, রোববার (৩ জুলাই) তুরস্কের ভ্যান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী অভিবাসীদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। চার বছর বয়সি আফগান বালক এই ঘটনায় মারা যায়।
মানবাধিকার সংস্থার চেয়ার মেহমেত কারাতাস জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন, গুলি চালানোর ঘটনায় আরও ১২ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ওই বালকের মা।
সরকারি অফিস একটি বিবৃতিতে প্রকাশ, তাতে বলা হয়েছে একজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, ১২ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু কারো বয়স বা জাতীয়তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। গাড়িতে ৪০ জন অভিবাসী ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
অফিসাররা গাড়ি লক্ষ্য করে 'সোজাসুজি' গুলি চালায়
সরকারি বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, কারাহিসারের প্রবেশপথের চেকপয়েন্টে অফিসাররা কোকবাসি-তুরান এলাকা থেকে আসা 'সন্দেহজনক' একটি গাড়িকে থামানোর চেষ্টা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাড়ির চালক সেই সতর্কতা মানেননি এবং কর্মীদের দিকে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন।" গাড়ি থামানোর জন্য গাড়ির টায়ারে গুলি করা হয়৷
কারাতাসের মতে, দুই জন অফিসার গাড়িতে "সোজাসুজি" গুলি চালিয়েছিলেন। গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দেয়া হয়। যদিও একটি গুলি অন্য দিকে চলে গিয়েছিল। কারাতাস বলেছেন, অফিসাররা গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে নারী ও শিশু-সহ বেশ কয়েকজন অভিবাসী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
মানবাধিকার আইনজীবী ঘটনাটিকে "কর্তব্য লঙ্ঘন এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘন" বলেছেন। ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।
সরকারি কার্যালয় জানিয়েছে, "মানবপাচারকারী এবং ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।" এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ইরানের সীমান্তলাগোয়া একটি এলাকা ভ্যান। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইরান থেকে আসা অভিবাসীদের কাছে পরিচিত রুট এটি। প্রায়ই তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ইস্তাম্বুলের মতো বড় শহরে নিয়ে আসতে চায় মানবপাচারকারীরা।
এর আগেও এই পথে আসতে গিয়ে অভিবাসীরা প্রাণ হারিয়েছেন।
আরকেসি/কেএম (ডিপিএ)