যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে হাঙ্গেরি। কিন্তু এই দেশই জোর দিয়ে বলছে যে সার্বিয়া থেকে যে "অবৈধ অভিবাসীরা" সীমান্ত পেরিয়ে আসবে, তাদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখাবে না সরকার।
হাঙ্গেরি পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। কিন্তু সার্বিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত থেকে অনিয়মিতভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছেন যে অভিবাসীরা, তাদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেটার সিয়েয়ার্তো।
"আমরা অবৈধ অভিবাসীদের হাঙ্গেরির ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেব না৷ তাদের সার্বিয়ায় আসার চেষ্টা করা উচিত নয়। কারণ তাদের হাঙ্গেরিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। আমরা সার্বিয়াকে তার সীমান্ত রক্ষা করতে সাহায্য করব," বলেন সিয়েয়ার্তো।
সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলের সুবোটিকায় ৪ জুলাই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নতুন দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এক লাখ ১০ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী দক্ষিণ সীমান্তে
হাঙ্গেরি এখনও পর্যন্ত আট লাখ ২০ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে পেটার সিয়েয়ার্তো। তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছর এক লাখ ১০ হাজার অবৈধ অভিবাসী হাঙ্গেরির দক্ষিণ সীমান্তে পৌঁছেছে"এই অভিবাসীরা মারাত্মক বিপজ্জনক, আক্রমণাত্মক এবং সশস্ত্র। এটি মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নয় বরং দুই দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমি এই ব্যক্তিদের স্পষ্ট বলতে চাই যারা আমাদের পুলিশ অফিসারদের আক্রমণ করে বা সার্বিয়াতে আক্রমণাত্মক আচরণ করে, তাদের হাঙ্গেরির ভূখণ্ডে প্রবেশের কোনো অধিকার নেই", যোগ করেন তিনি।
এই মন্ত্রীর মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট চলছে৷ তাই সার্বিয়া এবং হাঙ্গেরিকে এই ধরনের নতুন সমস্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
অভিবাসীদের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে সুবোটিকায় গত কয়েকদিন ধরে চলা সশস্ত্র সংঘর্ষের কথা বলেন মন্ত্রী। এই সংঘর্ষের ফলে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সিয়েয়ার্তো ব্রাসেলসের ভূমিকা এবং এনজিওগুলির সমালোচনা করেন। অবৈধ অভিবাসনের প্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
হাঙ্গেরির মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, "অভিবাসীদের অবৈধভাবে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে উৎসাহিত করবেন না। আমরা তাদের অনুরোধ করছি। এভাবে হাঙ্গেরি ও সার্বিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হচ্ছে।"
আরকেসি/এআই (আনসা)