ফাইল থেকে: হাঙ্গেরির সঙ্গে সার্বিয়ার উত্তর সীমান্তের কাছে সুবোটিকায় অভিবাসীরা ৷ ছবি: জোলটান বালোঘ/আর্কাইভ/ইপিএ
ফাইল থেকে: হাঙ্গেরির সঙ্গে সার্বিয়ার উত্তর সীমান্তের কাছে সুবোটিকায় অভিবাসীরা ৷ ছবি: জোলটান বালোঘ/আর্কাইভ/ইপিএ

সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাঙ্গেরির উত্তর সীমান্তে সুবোটিকার কাছে সার্বিয়ার পুলিশ অনিয়মিত অভিবাসীদের দুটি শিবির খুঁজে বের করেছে। এনজিও অ্যাসাইলাম প্রোটেকশন সেন্টারের মতে, বর্তমানে প্রায় তিন হাজার অনিয়মিত অভিবাসী, শরণার্থী এই সীমান্তের শিবিরে রয়েছেন।

সার্বিয়া ও হাঙ্গেরি সীমান্তে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলে সুবোটিকার কাছে অভিবাসীদের দুটি অস্থায়ী শিবির খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ১৮ জুলাই জানিয়েছে, একটি শিবিরে অসংখ্য অভিবাসী রয়েছেন। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিবাসীদের বেশ কয়েকজন মূলত ভারত, পাকিস্তান এবং সিরিয়া থেকে এসেছেন। তাদের অনেককে স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

বলকান রুটে আসা হাজার হাজার অভিবাসী হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সার্বিয়ায় অস্থায়ীভাবে থাকতে বাধ্য হন। সীমান্ত পেরোনোর সময় তারা সাধারণত সার্বিয়ায় অপেক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে রওনা দেন।

সার্বিয়ার এনজিও অ্যাসাইলাম প্রোটেকশন সেন্টারের পরিচালক রাডোস জুরোভিচের মতে, বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শরণার্থী হাঙ্গেরি সীমান্তে রয়েছেন।

দৈনিক প্রায় হাজার অভিবাসীর প্রবেশ সার্বিয়ায়

জুরোভিচ বলেছেন, পরিসংখ্যান দেখলে প্রত্যেক দিন প্রায় হাজার জন অভিবাসী সার্বিয়ায় প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে ৪০০ জন উত্তর মেসিডোনিয়া এবং কসোভো থেকে আসেন এবং ৬০০ জন হাঙ্গেরি হয়ে এসেছেন।

তার কথায়, হাঙ্গেরিয়ান কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের সার্বিয়ায় ফেরত পাঠায়। একই সূত্র বলেছে যে পুলিশ মানবপাচারকারীদের রুখতে সবরকম চেষ্টা জারি রেখেছে। অভিবাসীদের একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর অপরাধ দমনের চেষ্টা করার পাশাপাশি বলকান রুটে নতুন ঢল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।

এই এলাকায় প্রায়ই গোষ্ঠী সংঘর্ষ এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি সুবোটিকায় প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

গত কয়েকদিন ধরে ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলতে শুরু করেছে স্লোভেনিয়া । ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে অভিবাসী সংকটের সময় বেড়াটি দেয়া হয়েছিল। বেড়া সরানোর কাজ যারা করছেন, তাদের মত, এর ফলে অভিবাসীদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।


আরকেসি/কেএম

 

অন্যান্য প্রতিবেদন