আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ঘোষণা করেছে ২০২১ সালে প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসী স্বেচ্ছায় তাদের নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসী নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সহায়তা পেয়েছেন। ২০২১ সালে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মোট এক লাখ ১৩ হাজারের বেশি পুনঃএকত্রীকরণ হয়েছে। ২০২১ সালের ২৮ জুলাইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এটি প্রকাশিত হয়েছিল।
আইওএম একটি ছোট বিবৃতিতে বলেছে, "গত বছর থেকে বিশ্বজুড়ে গতিশীলতা বেড়েছে। তবে, করোনার কারণে মহামারির আগের সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা যথেষ্ট কম।"
গত বছর, জাতিসংঘের সংস্থাটি ৪৯ হাজার ৭৯৫ জন অভিবাসীকে নিজেদের মূল দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করেছিল। ২০২০ সালের তুলনায় যা ১৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ছয় হাজার ৩৬৭ জন অভিবাসীকে আইওএম পরিচালিত মানবিক স্বেচ্ছাসেবী প্রত্যাবর্তন (এইচভিআর) প্রোগ্রামের আওতায় সহায়তা করা হয়েছে।
ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা, যেখানে মূলত অভিবাসীদের গ্রহণ করা হয়েছে
প্রত্যাবাসনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া মূল দেশগুলি হলো গিনি (পাঁচ হাজার ১৬৫ জন) মালি (চার হাজার ৪৫৩ জন) , ইথিওপিয়া (তিন হাজার ৯৩৪ জন) এবং নাইজেরিয়া (তিন হাজার ৩২২ জন)
২০২০ সালের মতো ২০২১ সালেও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় পেয়েছেন বা তাদের গ্রহণ করা হয়েছে। ১৬ হাজার ৯৯৩ জন অভিবাসী স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসন সংক্রান্ত সহায়তাগুলি পেয়েছেন।

আইওএম বলেছে, ২০২১ সালে নাইজার সবথেকে বেশি মানুষকে জায়গা দিয়েছিল (মূল হোস্টিং দেশ)। ১০ হাজার ৫৭৩ জন নাইজার থেকে স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসন করেছেন। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকার বাইরে ট্রানজিট দেশগুলি থেকে অন্যান্য দেশে (হোস্টিং কান্ট্রি) প্রত্যাবাসনের প্রবণতা বাড়ছে।
আইওএমের সুরক্ষা বিভাগের প্রধান ইটনা গেটাচাউ বলেন, "অভিবাসীদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে আইওএমের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এছাড়াও মহামারির সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি উঠে যাওয়ার পর অভিবাসী প্রত্যাবাসনে সংস্থা যেভাবে সাহায্য করেছে তাও বলা হয়েছে।"
এক লাখের বেশি পুনর্মিলন
জাতিসংঘের সংস্থার মতে, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচি সহায়তার প্রধান একটি দিক হলো এর ফলে নিজেদের দেশে টেকসই উন্নয়নের প্রচার করা সম্ভব।
২০২২ সালে সারা বিশ্বে ব্যক্তিগত, সম্প্রদায় এবং কাঠামোগত স্তর মিলিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৩৩১টি পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করেছে আইওএমের ১২১টি কার্যালয় ।
সামগ্রিকভাবে, ২০২১ সালে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তাকারী শীর্ষ তিনটি দেশ হলো জার্মানি (১৫ শতাংশ), নাইজেরিয়া (১২ শতাংশ) এবং গিনি (আট শতাংশ)। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা এবং পরামর্শ পরিষেবার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের সাহায্য করেছে।
আরকেসি/কেএম (আনসা)