লুক্সেমবুর্গে অবস্থিত ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিসের রায় মানতে বাধ্য সদস্য দেশগুলো৷ ফাইল ছবি: Imago Images/P. Scheiber
লুক্সেমবুর্গে অবস্থিত ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিসের রায় মানতে বাধ্য সদস্য দেশগুলো৷ ফাইল ছবি: Imago Images/P. Scheiber

অভিবাসী, শরণার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা সংক্রান্ত জার্মানির কয়েকটি নিয়ম ইইউ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে রায় দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত৷ বিচারকরা অভিবাসী, শরণার্থী শিশুদের অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন৷

পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে জার্মানির দুইটি নিয়মকে বাতিল করেছে ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিস বা ইসিজে৷ সেই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের ভাতা নিয়ে তাদের পক্ষে আরেকটি পৃথক রায় দিয়েছেন বিচারকরা৷

পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার ক্ষেত্রে জার্মান কর্তৃপক্ষের দুইটি সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়৷ এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল ২০১৫ সালে সিরিয়া থেকে আসা দুইটি পরিবারের সঙ্গে৷

একটি ঘটনায় সিরিয়া থেকে জার্মানিতে আগত শরণার্থী বাবা তার অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় জার্মানিতে আনার আবেদন করেন৷ অন্য ঘটনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক সিরিয়ান মেয়ে জার্মানিতে বসবাসরত শরণার্থী বাবার কাছে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেন৷ এই দুই ক্ষেত্রেই তাদের ভিসার আবেদন বাতিল করে জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ 

ইউরোপের বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান বাবা-মা শরণার্থী স্বীকৃতি পাওয়ার সময় প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলেও তাকে পারিবারিক পুনর্মিলন নর্মিলন ভিসা দিতে হবে৷ 

পড়ুন: কর্মীর খোঁজে জার্মানি

রায়ে যা আছে

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ভিসার সিদ্ধান্ত দেয়ার সময়ে আবেদনকারীর বয়স কত সেটি বিবেচনায় নেয় জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ এক্ষেত্রে আবেদনের সময় কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তিনি প্রাপ্তবয়স্কের সীমাতে পৌঁছালে তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়৷ ইউরোপীয় বিচারিক আদালতের রায় অনুযায়ী, এই নিয়ম ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার সনদের পরিপন্থী৷

ইসিজে এর আরেকটি রায় অনুযায়ী, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীরাও জার্মানিতে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে৷ এক্ষেত্রে বাবা-মা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যকোন দেশের সুরক্ষাভোগী কীনা তা বিবেচ্য হবে না৷  

রাশিয়ান এক অপ্রাপ্তবয়স্কের ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেয়৷ পরিবার পোল্যান্ডে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা স্ট্যাটাস পাওয়ায় জার্মান কর্তৃপক্ষ তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে৷ 

আদালতের তৃতীয় আরেকটি রায়ে বলা হয়েছে, ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেকোন দেশের শিশুর ক্ষেত্রে জার্মানিকে অভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হবে৷ 

আদালতের রায়গুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মানির সরকারের অভিবাসন, শরণার্থী ও ইন্টেগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার রিম আলবালি-রেদোফান৷ ইসিজে এর সিদ্ধান্তকে শরণার্থী পরিবারের জন্য ‘ভালো খবর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আমরা এখন দেখব ক‘‘আমরা এখন দেখব কোথায় কী পরিবর্তন প্রয়োজন৷’’

পড়ুন: অনিয়মিত অভিবাসীদের স্থায়ী করতে জার্মানির নতুন উদ্যোগ

এফএস/কেএম

 

অন্যান্য প্রতিবেদন