(ফাইল ছবি) ইটালির রাজধানী রোমে অবস্থিত ইটালির  সাংবিধানিক আদালত। ছবি আনসা।
(ফাইল ছবি) ইটালির রাজধানী রোমে অবস্থিত ইটালির সাংবিধানিক আদালত। ছবি আনসা।

স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে কোনো অভিবাসীর নাগরিকত্ব অর্জনে তা বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে ইটালির আদালত৷ রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুর কারণে বৈবাহিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে তৈরী সার্বজনীন সুরক্ষা বাতিল হতে পারে না৷

ইটালীয় নাগরিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ কোনো বিদেশি অভিবাসী, শরণার্থী কিংবা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করলে আবেদন চলাকালে স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু হলেও তার নাগরিকত্ব অধিকারের স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে না৷ সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছে, ইটালির সাংবিধানিক আদালত৷  

আদালত আরও জানায়, ‘‘একজন ইটালীয় নাগরিকের সাথে বিবাহিত ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা ইটালীয় সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ বিপরীত৷ প্রক্রিয়া চলাকালে কারও স্বামী ও বা স্ত্রীর মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোন দায় থাকতে পারে না৷’’ 

পড়ুন>>ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার অভিযানে ইইউর সহায়তা আহ্বান

আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যু এমন একটি ঘটনা যা কোন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার উর্ধ্বে৷ এ কারণে কারো নাগরিকত্বপ্রাপ্তির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে না৷

আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, “মৃত্যু বিবাহ বন্ধনের অবসান ঘটালেও এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং তাতে সর্বজনীন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনো অবসান হয় না৷ বৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমে অর্জিত অধিকারগুলিকে বাধাগ্রস্ত বা অবরুদ্ধ করা বেআইনি৷’’

আরও পড়ুন>>অভিবাসী হত্যা বন্ধ কবে, প্রশ্ন ইটালিতে

উল্লেখ্য, একজন ইটালীয় ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি যদি টানা দুই বছর ইটালিতে বসবাস করেন সেক্ষত্রে তিনি নাগরিকত্ব আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন৷ 

তারা যদি একসাথে ইটালির বাইরে অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে বিয়ের তিন বছর পর নাগরিকত্ব অর্জনের আইনি প্রক্রিয়ায় আবেদন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ বিবাহিত দম্পতির সন্তান জন্ম নিলে এই সময়কাল অর্ধেক কমে যায়৷

পড়ুন>>দক্ষিণ ইটালির শহরে বিদেশি শিশুদের নাগরিকত্ব

আইনে পূর্বে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াকরণের সময় যদি কারো স্বামী বা স্ত্রী মারা যান, তাহলে আবেদনটি অবৈধ বলে গণ্য হবে৷ ইটালীয় সাংবিধানিক আদালতের রায়ে এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে।


এমএইউ/এফএস




 

অন্যান্য প্রতিবেদন