চুক্তিপত্র ছাড়া অভিবাসীদের কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কীনা তা দেখতে কৃষি খামারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে ইটালি কর্তৃপক্ষ৷ কাম্পানিয়া অঞ্চলের কাসের্টাতে অভিযান চালিয়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে কাজ দেয়া ২০ অভিবাসীর সন্ধান পেয়েছেন তারা৷ শ্রম শোষণের কারণে চারটি খামারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তদন্ত চলছে অন্যদের বিরুদ্ধেও৷
বৃহস্পতিবার খামারগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে শ্রম তদন্তকারী সংস্থা ও পুলিশ৷ বার্তা সংস্থা আনসা তদন্তকারীদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজে লাগানো অভিবাসী পূর্ব ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার৷ অভিযুক্ত চারটি খামারের কার্যক্রম বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সূত্রটি৷
শ্রম শোষণের অভিযোগ
আভেরসানো, সেসানো এবং মাজোনি কৃষি এলাকার ১৭টি খামারে এই খামারে অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ এসব এলাকায় মূলত টমেটো, মরিচ, বেগুন ও তরমুজের চাষ হয়৷ অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা ৬৪ জন কর্মীর কাগজপত্র পরীক্ষা করেন৷ এর মধ্যে ২০ জনের কোন চুক্তিপত্র পাননি তারা৷ তদনকারীরা জানিয়েছেন, খামারগুলোতে পাওয়া ৬৪ জনের ৫১ জনই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের অভিবাসী, যাদের বসবাসের অনুমতি নেই৷ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ দিয়েছে৷ শ্রম শোষণের অভিযোগে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে৷
মাজোনিতে তদন্তকারী সাতজন অনিয়মিত টিউনিশীয় নাগরিকের সন্ধান পেয়েছেন, যারা তীব্র তাপদাহের মধ্যে কাজ করছিলেন৷ প্রতি বাক্সের জন্য তাদেরকে সাত ইউরো করে মজুরি দেয়া হতো এবং প্রতিদিন সাত ঘণ্টা কাজে লাগানো হতো৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খামারগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে শ্রম ঘণ্টা, কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের সুরক্ষার নিয়ম মানা হয় কীনা তা তদন্ত করে দেখছেন তারা৷
পড়ুন: ইটালিতে বসবাসের অনুমতিতে বাংলাদেশিরা চতুর্থ
‘গ্যাংমাস্টার’ ব্যবস্থা
এদিকে বৃহস্পতিবার পুলিয়াতে চারটি কোম্পানির কর্মকাণ্ড বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অঘোষিতভাবে শ্রমিক নিয়োগ, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা, শ্রমশোষণ ও গ্যাংমাস্টার ব্যবস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
কোম্পানির খামারগুলোতে ২১ জন কর্মীর ছিলেন যাদের মধ্যে ছয়জন ইটালীয় এবং বাকিরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা৷ এদের বেশিরভাগই চীনের বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আনসা৷
এক বিবৃতিতে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন খামারগুলোতে তারা কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি সংক্রান্ত নথিপত্রের অভাব, চিকিৎসক ও প্রযোজনীয় সুরক্ষাকর্মী এবং প্রয়োগ না থাকার অভিযোগ রয়েছে৷
পড়ুন: ইটালিতে মৌসুমি ও স্পন্সর ভিসা: বাংলাদেশিদের যা জানা প্রয়োজন
এফএস/কেএম