Britain exits the EU in March 2019
Britain exits the EU in March 2019

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিদেশি অপরাধী আর অভিবাসন আইন বরখেলাপকারীদের’ ‘বিতাড়নের’ আগে তার সরকার বিরাম নেবে না৷ চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেড় হাজার জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানোর তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকার৷

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৪১জন ‘বিদেশি অপরাধীকে ফেরত পাঠিয়েছে লন্ডন৷ তাদের মধ্যে এক হাজার জনই আলবেনিয়ান৷ 

সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা ও ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে সরকারের নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ 

পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন চুক্তি

অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে ব্রিটেন৷ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ১৭ আগস্ট ইসলামাবাদের সঙ্গে এই চুক্তি করেন৷ এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বসবাসের অনুমতি নেই এমন ‘পাকিস্তানি অভিবাসনপ্রত্যাশী ও ‘অপরাধীদের’ ফেরত পাঠানো হবে৷ প্রীতি প্যাটেল বলেন, ‘‘যাদের এখানে থাকার অনুমতি নেই তাদের বিতাড়নের আগে আমরা থামবো না এবং আমি গর্বিত যে আমরা প্রায় এক হাজার আলবেনীয় অভিবাসন অপরাধীকেও এখন পর্যন্ত বিতাড়িত করতে পেরেছি, যাদের মধ্যে অনেকে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছেন৷’’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এক হাজার ৭৪১ জন বিদেশিকে অপরাধের দায়ে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য৷ এর মধ্যে ৪৮৭ জন আলবেনীয়কে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, অপ্রাপ্তবয়স্কদের নির্যাতন, অনিয়মিতভাবে ইউরোপে প্রবেশ, মানবপাচার, অপহরণ, ছিনতাই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে পাঠানো হয়৷ 

এছাড়া শুধু গত জুলাইতে ২৪৩ বিদেশিকে চার্টার বা নিয়মিত ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ 

অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ছবি: এপি/পিকচার অ্যালায়েন্স
অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ছবি: এপি/পিকচার অ্যালায়েন্স

পড়ুন: অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর ব্রিটেনের দুই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

ফেরত যাওয়া কয়েকজন

বিবৃতি অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো বিদেশি নাগরিকদের একজনকে গত জুনে মাদক নিয়ে গাড়ি চালানোর সন্দেহে আটক করা হয়৷ তিনি ২০২১ সালে একটি লরির পিছনে লুকিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান৷ প্রথমে তাকে আলবেনিয়াতে ফেরত পাঠানোর জন্য বন্দি রাখা হলেও পরবর্তীতে জুলাইতে তিনি স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হন৷ 

আরেক ব্যক্তি জুলাইতে ছোট একটি নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসেন৷ তিনি যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক কারণ দেখিয়ে আশ্রয় চেয়েছিলেন৷

আরেকজন ২০১৫ সালে ট্রাকে করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন৷ এরপর আর আশ্রয় আবেদন না করে লুকিয়ে থাকেন৷ ২৩ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ১২দিন বন্দি থাকার পর তিনি স্বেচ্ছায় ফিরে গেছেন৷ 

এফএস/এসিবি

 

অন্যান্য প্রতিবেদন