ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে অভিবাসনের প্রত্যাশায় নর্থ মেসিডোনিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসী, শরণার্থীদের পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ বাংলাদেশি৷ আইওএম এর এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে৷
বলকান রুট হয়ে আসা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্যতম ট্রানজিট দেশ নর্থ মেসিডোনিয়া৷ এখান থেকে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা৷ দেশটির দুইটি ক্যাম্পে বসবাসরত এমন ১৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর উপর এপ্রিল-মে মাসে জরিপ চালিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম৷ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী এই অভিবাসীদের ৯৩ ভাগের বেশি মূলত সাতটি দেশ থেকে এসেছেন৷ তাদের প্রায় ৩২ শতাংশ সিরিয়ার নাগরিক৷
তাদের পরে আছেন পাকিস্তান (২৪.৪%), ভারত (১১.১%), মরক্কোর (৯.৪%) মানুষ৷ এই তালিকায় আফগানিস্তানের সঙ্গে পঞ্চম অবস্থানে আছেন বাংলাদেশিরা৷ দুই দেশেরই নাগরিক পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ করে৷

জরিপে অংশ নেয়া বাংলাদেশিদের গড় বয়স ৩০.৬ বছর, যা সেখানে থাকা অভিবাসীদের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ৷ এই বাংলাদেশিরা সবাই অন্তত এক বছর গ্রিসে কাটানোর পর নর্থ মেসিডোনিয়া এসেছেন বলে জানিয়েছেন৷ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মধ্যেও বড় অংশই গ্রিস থেকে এসেছেন৷ আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা অভিবাসীরা ইরান, তুরস্ক বা গ্রিস হয়ে নর্থ মেসিডোনিয়া পৌঁছান৷
এই অভিবাসীদের ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন এই যাত্রায় তাদের এক হাজার থেকে আড়াই হাজার ডলার খরচ পড়েছে৷ আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার ডলার খরচ পড়েছে ১১.৭ শতাংশের৷ পাঁচ শতাংশ অভিবাসী পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার ব্যয় করেছেন৷ এমনকি কেউ কেউ তার উপরেও খরচ করেছেন৷
নর্থ মেসিডোনিয়ায় থাকা এই অভিবাসীদের কারোই চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়৷ ৪৪.৪ শতাংশই পৌঁছাতে চান জার্মানিতে৷ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইটালি ও নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কও আছে তাদের আগ্রহের তালিকাতে৷
এফএস/কেএম (আইওএম)