ফাইল থেকে:  ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার উপকূলে, একটি উদ্ধার অভিযানের সময় একটি রাবার ডিঙিতে অভিবাসীদের ছবি তোলা হয়েছে।ছবি: রয়টার্স/স্ট্রিংগার
ফাইল থেকে: ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার উপকূলে, একটি উদ্ধার অভিযানের সময় একটি রাবার ডিঙিতে অভিবাসীদের ছবি তোলা হয়েছে।ছবি: রয়টার্স/স্ট্রিংগার

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ৷ এই ঘটনায় ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ 

নৌকাটিতে মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন বলে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ এই অভিবাসীদের সবাই মিশরীয় নাগরিক৷ দেশটির উপকূল থেকেই ইউরোপের উদ্দেশে তারা যাত্রা করেন বলে জানিয়েছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ৷ তাদের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ এবং পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ আরো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন যারা সমুদ্রে ডুবে গেছেন বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ৷ বেনগাজি থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পূর্বে উত্তর-পূর্ব লিবিয়ার শহর টলমিথার কাছে সপ্তাহান্তে নৌকাটি উদ্ধার হয়৷ কর্মকর্তারা নৌকাটির ধরন বা কী কারণে এটি ডুবেছে তা নির্দিষ্ট করে জানাননি৷

এর আগে সোমবার লিবিয়ার অনিয়মিত অভিবাসন দমন বিভাগ এই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল৷ ছয়জনকে উদ্ধারের পাশাপাশি তখন নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১৯ জন৷ পরবর্তীতে আরো তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হয়৷

অনিয়মিত অভিবাসন বিরোধী সংস্থার ফেসবুক পেজে উদ্ধার অভিযানের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে৷ তাতে জীবিতদের উদ্ধারের পর তাদের পানীয় জল দিতে দেখা যায়৷

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সহিংসতা ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷ এছাড়াও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসীরাও এই পথে ইউরোপে পাড়ি জমানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হয়ে উঠেছে৷ মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে তারা রাবার বোট কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে সমুদ্র পেরিয়ে ইউরোপের দিকে রওনা দেন৷ বিপজ্জনক এই যাত্রায় প্রায় প্রতি সপ্তাহে শত শত অভিবাসী, শরণার্থীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে৷

 

আরকেসি/এফএস

 

অন্যান্য প্রতিবেদন