বাংলাদেশি ও মিশরীয় অভিবাসী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ভাসছে ওশান ভাইকিং

ওশান ভাইকিং পরিচালনাকারী সংস্থা এসওএস মেডিটেরানি জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে অভিবাসীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন৷ জাহাজে থাকা রেবেকা নামের একজন নার্স জানিয়েছেন, চার জনের স্বাস্থ্যকর্মীর দল অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে৷ যাত্রীদের মধ্যে চর্মরোগসহ নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে৷ তবে ইটালির উপকূলরক্ষী বাহিনী দুইজন গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে জাহাজটি থেকে সরিয়ে নিয়েছে৷

ওশান ভাইকিং বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিবাসীরা বিভিন্ন রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে অবসাদগ্রস্ততা, পানি শূন্যতা, ব্যথা এবং নানা ধরনের সংক্রমণ৷

ইউরোপীয় মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাটি জাহাজটি নোঙ্গরের জন্য মাল্টা ও ইটালির কাছে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি বলে জানিয়েছে৷

এই অভিবাসীদের তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে৷ এসওএস মেডিটেরানির মুখপাত্র লরেন্স বন্ডার্ড উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘জাহাজটি একটি সাময়িক আশ্রয় মাত্র৷ দমবন্ধ করা গরমে উদ্ধারকৃতদের ডেকে থাকা চরম কঠিন ব্যাপার৷’’

ভিডিও বিবৃতিতে রেবেকা বলেন, ‘‘উদ্ধারকৃত সবাইকে দ্রুত নামানো দরকার যাতে উত্তাপ ও সূর্যের আলো থেকে দূরে রেখে তাদের চিকিৎসা করা যায়৷’’

সংস্থাটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত ৪৬০ অভিবাসীর বেশিরভাগ বাংলাদেশি ও মিশরীয়৷ তাদের ২০ জন নারী ও ৮০ অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন৷ অপ্রাপ্তবয়স্কদের সবাই অভিভাবকহীন বলেও জানিয়েছে তারা৷

বন্ডার্ড বলেন, ‘‘অভিবাসীদের বহনকারী মধ্যে একটি নৌকা ছাড়া বাকি সবগুলোই লিবিয়া থেকে যাত্রা করে৷ উদ্ধারকৃতরা তিনদিন পর্যন্ত সমুদ্রে কাটিয়েছেন৷’’

শুধু ওশান ভাইকিং নয়, উদ্ধার করা অভিবাসীদের নিয়ে এখন সমুদ্রে আরো দুইটি জাহাজ৷ এর একটি মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের জাহাজ জিও ব্যারেন্টস৷ গত শুক্রবার তারা ১১ জনকে উদ্ধার করে৷

জার্মান সংস্থা রেস্কশিপের জাহাজ নাদিরও ষাট জন অভিবাসীকে নোঙ্গরের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ এক টুইটে সংস্থাটি জানিয়েছে, এত অভিবাসীকে সেবা দেয়ার মতো ব্যবস্থা তাদের জাহাজে নেই৷ এই অভিবাসীদের তারা শুক্রবার উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে৷

এফএস/এআই (এপি, ডিপিএ)