শরণার্থী এবং গৃহহীন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ইউএনএইচসিআর। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যুদ্ধ এবং নিপীড়নের পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের জন্য এখনো অনেক কিছু করতে হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, তারা উদ্বিগ্ন। শরণার্থীদের যে দেশে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে, সেখানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। সবমিলিয়ে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর প্রভাবে শরণার্থীদের উপর আরো চাপ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিতে আরো নজর দেয়া প্রয়োজন।
ইউএনএইচসিআর ডিভিশন অফ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সলিউশনের পরিচালক সাজ্জাদ মালিক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, "শরণার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির সর্বোত্তম উপায় হল তারা যে সংকট থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, সেটির স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।"
তার কথায়, "আমরা জানি যে বাস্তুচ্যুত হওয়ার অভিজ্ঞতা মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যে বিশাল প্রভাব ফেলে। উপযুক্ত যত্ন পাওয়া, অন্যদের পাশে পাওয়া, সাহায্য পাওয়া প্রতিটি শরণার্থীর অধিকার।"
স্টাডি: গৃহহীন শরণার্থী মানুষের অবসাদগ্রস্ততা বেশি
ইউএনএইচসিআর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "মনোস্তাত্ত্বিক সহায়তা সংক্রান্ত পরিষেবার দিকগুলি উন্নত করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু শরণার্থীরা বাস্তুচ্যুত হওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে মানসিক চাপের সম্মুখীন হন।"
উগান্ডায় ইউএনএইচসিআর এবং বিশ্বব্যাংক দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শরণার্থীদের মধ্যে হতাশার হার আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীগুলির লোকদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। সংস্থা বলেছে, মানসিক চাপের নানা কারণ রয়েছে। এগুলি হলো, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, জেনোফোবিয়া (অজ্ঞাত সবকিছুকে ভয়,), জীবিকার সুযোগের অভাব, বিপজ্জনক যাত্রা এবং সংঘাত ও নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়া।
একের পর এক টুইট বার্তায়, ইউএনএইচসিআর শরণার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সাহায্যে সহায়তা করার জন্য প্রথম সারিতে কাজ করা ব্যক্তিদের কাজ এবং জীবনকেও তুলে ধরেছে।
শরণার্থীদের নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হয়
ইউএনএইচসিআর কার্যনির্বাহী কমিটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে শরণার্থীরা এখনো জীবন-পরিবর্তনকারী পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত সংযমের পরিচয় দেন।
জাতিসংঘের সংস্থা শরণার্থীদের এই মানসিক দৃঢ়তার কথা স্বীকার করছে। প্রতিবেদনের উপসংহারে "শরণার্থী এবং অন্যান্য বাস্তুচ্যুত এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সহায়তা পরিষেবার বৃদ্ধির" অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সাজ্জাদ মালিক বলেন, তিনি বাস্তুচ্যুতির প্রতিক্রিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোসামাজিক সহায়তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্বারা "উৎসাহিত" হচ্ইউএনএইচসিআর থেকেছেন।
আরকেসি/এডিকে