জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নান্সি ফেসার জার্মান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বলকান রুটের অবৈধ অভিবাসন কমাতে হবে।
বৃহস্পতিবার জার্মান সংবাদমাধ্যম আরএনডি এটি রিপোর্ট করেছে। বার্লিনে একটি সম্মেলনের আগে পশ্চিম বলকান দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফেসার। সেইসময় তিনি বলেন, "অবৈধ অভিবাসন বন্ধ যৌথ দায়িত্ব ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারি।"
বলকান রুটে অভিবাসন রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বার্লিনের এই সম্মেলনে আলোচনা হওয়ার কথা।
সম্মেলনের আগে তিনি উল্লেখ করেন, "যুদ্ধের শুরু থেকে জার্মানি ইউক্রেন থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী গ্রহণ করেছে।" তিনি বলেন, "একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আরো বেশি মানুষ আসছে ইউরোপে এবং সেটা ভূমধ্যসাগর এবং বলকান রুটেই।"
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পশ্চিম বলকান রাজ্যগুলির ভিসা নীতিও সম্মেলনের আলোচনায় থাকবে। ফলে চোরাচালান রোধ এবং সীমান্ত সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। ফেসার তার আগেই ইঙ্গিতে স্পট করেছেন, "যাদের আমাদের সঙ্গে থাকার কোনো অধিকার নেই, তাদের ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়েও নিয়ে আলোচনা হবে।"
অভিবাসন গবেষক এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইউরোপিয়ান স্টেবিলিটি ইনিশিয়েটিভের সহ প্রতিষ্ঠাতা জেরাল্ড নাউস আরএনডিকে বলেন, বলকান রুট হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসন ঠেকানোর পদ্ধতিটি অর্থহীন। তার কথায়, "বলকান রুট বন্ধ করে আগেও কখনো লাভ হয়নি।"
তিনি বলেন, "বর্তমানে শরণার্থীদের এই চাপটি অবৈধভাবে নয়, আইনগতভাবে তৈরি করা হয়েছে। দশজনের মধ্যে নয়জন শরণার্থী ইউক্রেন থেকে এসেছেন।”
সম্মেলনে পশ্চিম বলকানের ছয়টি দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ফেসার। দেশগুলি হলো, আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হাৎর্জেগোভিনা, কসোভো, মন্টেনেগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া এবং সার্বিয়া। এই সম্মেলনে বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, গ্রিস, ইটালি, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং যুক্তরাজ্যও যোগ দেওয়ার কথা।
আরকেসি/এডিকে (ডিপিএ)