চলতি বছর এ পর্যন্ত বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে যাওয়া মোট দুই লাখ ১৫ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাঙ্গেরি।
২১ অক্টোবর, শুক্রবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বুদাপেস্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র এই বছরই দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশজুড়ে চলা বিভিন্ন অভিযানে বেআইনিভাবে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করা ২ লাখ ১৫ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে।
পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসন এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে চলা অভিযানে প্রায় দেড় হাজার পাচারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন>>অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে মধ্য ইউরোপের দেশগুলোর নতুন ব্যবস্থা
হাঙ্গেরি সরকারের প্রকাশিত এই তথ্যের উপর মন্তব্য করতে গিয়ে গ্রিসের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বলেছেন, পশ্চিম বলকান রুট দিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, “এই অভিবাসীদের অনেকেই এখন সশস্ত্র হয়ে সহিংসতা এবং আগ্রাসনের একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি করছে এবং হাঙ্গেরির সীমান্তরক্ষী পুলিশ ও সৈন্যদের হুমকি দিচ্ছে।
পড়ুন>> অভিবাসীর মাথা ন্যাড়া করে দিল হাঙ্গেরি পুলিশ!
পিটার সিজ্জার্তো পশ্চিম বলকান এবং ইউরোপের বাকি অংশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমর্থন চেয়ে বলেন, ''সম্ভাব্য অনিয়মিত অভিবাসীরা যেন ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা না করে সে লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পদক্ষেপ নিতে হবে।"
গ্রিসের এই মন্ত্রীর মতে, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এই তিনটি উপাদান মধ্য ইউরোপের জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান নিরাপত্তা সংকটে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিম বলকান দেশগুলোর সাথে যোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন>>হাঙ্গেরিতে গাড়িতে আগুন, নিহত তিন অভিবাসী
অপরদিকে, স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোমান মিকুলেকের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে দেশটির সংবাদ সংস্থা টিএএসআর জানিয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসনে জর্জরিত হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্ত রক্ষায় ৪০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্লোভাকিয়া।
স্লোভাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে হলে শেঙ্গেন জোনের বহিঃসীমান্ত রক্ষা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সীমানা নিয়ন্ত্রণ করে এটি সমাধান করা সম্ভব নয়।
পড়ুন>>সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তশিবিরে তিন হাজার অভিবাসী
তিনি আরও যোগ করেন, সীমান্তে স্লোভাক পুলিশকে প্রতিবেশি হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষের সাথে মিশ্র দলে মোতায়েন করা হবে। এই যৌথ অভিযান আগামী দুই মাস ধরে চলবে। ভবিষ্যতে ব্লকের অন্যান্য দেশগুলোও বহিঃসীমান্ত সুরক্ষায় যোগ দিবে কিনা সেটি বর্তমান উদ্যোগ কতটুকু ‘অর্থবোধক’ হচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে।
এমএইউ/আরআর (শেঙ্গেনভিসা ইনফো, হাঙ্গেরি টুডে)