অনিয়মিত উপায়ে ইটালি পাড়ি দেয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন বন্যা ও খরায় আক্রান্ত দেশের মানুষেরা৷ জলবায়ু সংকট তাদের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ৷ এমনই তথ্য উঠে এসেছে রোমভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আইডিওএস এর প্রতিবেদনে৷
কনফ্রন্টি স্টাডি সেন্টার, ‘এসপিওভি’ পলিটিক্যাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইডিওএস৷ এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ইটালিতে (অনিয়মিত উপায়ে) সবচেয়ে বেশি এসেছেন জলবায়ু সমস্যায় ভুক্তভোগী দেশের মানুষেরা৷ এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে টিউনিশিয়া, মিশর, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আইভোরি কোস্ট, ইরিত্রিয়া, গিনি, পাকিস্তান ও ইরান৷ সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দেশগুলো হয় দীর্ঘ খরা নয়ত ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত৷ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশে আঘাত হানার দিনই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাগুলো৷
গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু আক্রান্ত এই অভিবাসীরা আইনের চোখে ‘অদৃশ্য’ থেকে যাচ্ছেন৷ কেননা ইটালি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনে জলবায়ু অভিবাসীদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি মেলে না৷ আইডিওএস এর সভাপতি লুকা ডি সিউলো বলেন, ‘‘জলবায়ু অবিচার আর সামাজিক অবিচার এখন একই ব্যাপার৷ দারিদ্র্যের হাত থেকে যাদের বাঁচার আর কোনো উপায় নেই তাদের জন্য অভিবাসনই অভিযোজনের একমাত্র পথ৷’’
তিনি মনে করেন, শুধু সংঘাত থামিয়ে তাই অভিবাসনে বাধ্য হওয়া মানুষদের থামানো যাবে না৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৮৩ শতাংশ শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলি৷ অন্যদিকে ধনী ও জলবায়ু সংকটের জন্য সবচেয়ে দায়ী রাষ্ট্রগুলিতে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ব্যাপক আগমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে৷ জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণগুলি হ্রাস করার পরিবর্তে তারা সীমান্তে সামরিকীকরণ, অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানো, ড্রোনসহ নজরদারি প্রযুক্তির পিছনে জনগণের বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করছে৷
এফএস/এআই (আনসা)