ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে ভিসা নীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সার্বিয়া৷ এর অংশ হিসেবে টিউনিশিয়া ও বুরুন্ডির নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার বাতিল করেছে দেশটি৷ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ৷
টিউনিশিয়া ও বুরুন্ডির নাগরিকদের সার্বিয়া প্রবেশে এখন ভিসা প্রয়োজন হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মুখে সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলগ্রেড৷
ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা সার্বিয়ায় প্রবেশের পর অবৈধ উপায়ে ইইউ সীমান্তে প্রবেশ করে৷ এ নিয়ে বেলগ্রেডকে চাপ দিয়ে আসছে ব্রাসেলস৷ তার প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ শেঙ্গেন ভিসাইনফো তাদের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর থেকে টিউনিশিয়া ও বুরুন্ডির নাগরিকদের সার্বিয়া প্রবেশে ভিসা লাগবে৷ একে স্বাগত জানিয়েছেন ইইউ কমিশনার ওলিভার ভারহেয়ি৷ গত ২০ অক্টোবর এক টুইটে তিনি লিখেন, ‘‘তৃতীয় দেশের নাগরিকদের ভিসার বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকা অনুযায়ী সার্বিয়ার নেয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি৷ আশা করছি দ্রুতই আরো ব্যবস্থা দেখতে পাব৷’’
তবে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন টিউনিশিয়ার শিক্ষাবিদ ও অধিকারকর্মীরা৷ দেশটির এক গবেষক মোহাম্মদ হাদ্দাদ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে দেয়াল আরেক দফা উঁচু হলো...যার মাধ্যমে আরো মৃত্যু, চলাচলের স্বাধীনতার আরো লাগাম টানা হলো৷ একেই কি আপনারা সাফল্য বলছেন?’’
সম্প্রতি বলকান রুট হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসীদের আগমন বেড়েছে৷ ইউরোপের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ফ্রন্টেক্সের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর এক লাখের বেশি অভিবাসী পাড়ি দিয়েছেন পশ্চিম বলকান দিয়ে, যা ২০২১ সালের তুলনায় দেড়গুণের বেশি৷ এই অভিবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছেন সার্বিয়া হয়ে৷ ভারত, টিউনিশিয়া, সিরিয়া, বুরুন্ডিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিয়ে থাকে সার্বিয়া৷ এই সুবিধা নিয়ে অভিবাসীরা দেশটিতে পাড়ি জমান৷ অনেকে এরপর হাঙ্গেরি বা ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া হয়ে অনিয়মিত উপায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধনী দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷
গত মাসে জার্মানি জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়ার আশা রাখতে চাইলে সার্বিয়াকে তার ভিসার নিয়ম বদলাতে হবে৷ নয়ত এমনকি ইইউর সঙ্গে দেশটির ভিসা চুক্তিও বাতিল হতে পারে৷
এফএস/এআই