(ফাইল ছবি)অস্ট্রিয়া-জার্মান সীমান্তে অভিবাসীরা৷ ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স/ডিপিএ
(ফাইল ছবি)অস্ট্রিয়া-জার্মান সীমান্তে অভিবাসীরা৷ ছবি: পিকচার অ্যালায়েন্স/ডিপিএ

শীতের আগে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অস্থায়ী তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা করেছে অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ৷ এর কড়া সমালোচনা করেছে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো৷ তবে সরকার বলছে আবাসন সংকটের কারণে এই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে তারা৷

শীতের আগে অতিরিক্ত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ৷ এর কড়া সমালোচনা করেছে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো৷ তবে সরকার বলছে আবাসন সংকটের কারণে এই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে তারা৷ 

জার্মানির সীমান্তের কাছে তিনটি পয়েন্টে ৪০ টি সাদা তাঁবু বসিয়েছে অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ৷ আরো দুইটি থাকছে স্লোভেনিয়ার কাছে৷ স্থায়ী আবাসন অবকাঠামোতে সংকটের কারণে এমন উদ্যোগ নিয়েছে ভিয়েনা৷ 

এর আগে আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের আবাসন অপ্রতুলতার কারণে সমালোচনায় পড়ে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল সরকার৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আট হাজার মানুষকে জায়গা দিতে চলতি বছর তারা আবাসন ব্যবস্থা তিনগুণ বাড়িয়েছে৷ তারপরও সব শয্যা এরইমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে৷ 

সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখপাত্র থমাস ফুসেনেগার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আপাতত স্বল্পমেয়াদী সমাধান হিসেবে তারা তাঁবুর ব্যবস্থা করেছেন৷ 

কিন্তু এই ব্যবস্থাকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেছে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো৷ 

সরকারের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাত মাসে ৭০ হাজার আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে অস্ট্রিয়াতে৷ যেখানে গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার৷ বহিষ্কারের ঝুঁকি এড়াতে দেশটিতে প্রবেশ করা অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন বাধ্যতামূলক৷ 

অস্ট্রিয়ায় আগতদের মধ্যে বেশিরভাগ সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভারত এবং টিউনিশিয়ার নাগরিক৷ এর বাইরে কয়েক লাখ ইউক্রেনীয়কে বিশেষ ব্যবস্থায় আশ্রয় দিয়েছে দেশটি৷ 

গত সপ্তাহে অভিবাসী সংস্থাগুলো এক খোলা চিঠিতে উন্নততর আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়৷

শীতকালে তাঁবুর ব্যবস্থাকে অপ্রতুল বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরাও৷ সাঙ্কট গিয়রগেন নামের একজন মেয়রের এটি ‘এই সময়ের বিবেচনায় অমানবিক’৷ তরুণ অভিবাসীদের আগমনে স্থানীয়রা আতঙ্কিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ 

এদিকে, অভিবাসীদের আগমন বৃদ্ধির জন্য সার্বিয়াসহ বলকান দেশগুলোকে দায়ী করে আসছে অস্ট্রিয়া৷ এনিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সার্বিয়াকে তাদের ভিসা নীতি পরিবর্তনের চাপ দিয়েছে৷ এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি টিউনিশিয়া ও বুরুন্ডির নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে বেলগ্রেড

এফএস/এআই

পড়ুন: অস্ট্রিয়ায় কেন দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের ঢল?

 

অন্যান্য প্রতিবেদন