স্পেন সীমান্তবর্তী নাদোর শহরে গ্রেপ্তার অভিযান বাড়িয়েছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ। ছবি: উইকিমিড়িয়া সিসি
স্পেন সীমান্তবর্তী নাদোর শহরে গ্রেপ্তার অভিযান বাড়িয়েছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ। ছবি: উইকিমিড়িয়া সিসি

মরক্কোর উত্তরে অবস্থিত একটি সীমান্তবর্তী শহরে সক্রিয় একটি মানবপাচার নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়ার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী হিসেবে ২৩ জনকে আটক করার তথ্য দেয়া হয়েছে।

মরক্কোর রাষ্ট্রীয় ডিজিএসএন সিকিউরিটি সার্ভিস বুধবার জানিয়েছে, স্পেন সীমান্তবর্তী নাদোর এবং আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত একটি অভিযানে ২৩ সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশে প্রধান অঞ্চলগুলো একটি স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলা। আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপে আশ্রয় নেওয়া অভিবাসীদের জন্য মেলিলার সীমান্তের কাছে অবস্থিত মরক্কোর নাদোর শহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট জোন হিসেবে পরিচিত।

বুধবার গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মরক্কোর স্থানীয় নাগরিক এবং সাব-সাহারা আফ্রিকার চার ব্যক্তি রয়েছে।

আরও পড়ুন>>মেলিলা কাণ্ড: আপিলে সাজা বাড়ল ১৮ অভিবাসীর

ডিজিএসএন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা পাচারকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পাশপাশি তারা সমুদ্র পথে অবৈধ অভিবাসন কার্যক্রম সংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও রসদ সরবরাহ করতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযানে পুলিশ ১২৫টি মোটর, রাবারের ডিঙ্গি নৌকা, নেভিগেশন সরঞ্জাম, ১০টি গাড়ি, কিছু ভুয়া নম্বরপ্লেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে।

পড়ুন>> স্পেন সীমান্তের কাছে ২৫ অভিবাসী আটক

চলতি বছরের ২৪ জুন একসাথে প্রায় ২ হাজার আফ্রিকান নাগরিক মেলিলা সীমান্ত পাড়ি দিতে গেলে অভিবাসীদের সাথে স্পেন ও মরক্কো পুলিশের নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সেসময় সীমান্তে অন্তত ২৩ অভিবাসী নিহত এবং অসংখ্য পুলিশ ও অভিবাসী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। 

ভয়াবহ এই সংঘর্ষের পর শতাধিক অভিবাসীকে গ্রেপ্তার এবং বহু অভিবাসীকে বিচারের মুখোমুখি করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুন>>ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে কমেছে অভিবাসী আগমনের হার

চলতি বছরের শুরুতে স্পেন ও মরক্কোর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে উষ্ণ সম্পর্ক শুরুর পর সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে অভিবাসীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছে অনেক অভিবাসী ও এনজিও। 


এমএইউ/এআই 


 

অন্যান্য প্রতিবেদন