ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ, মিশরসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীরা ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন। ফাইল ফটো। পিকচার অ্যালায়েন্স/তাসনিম নাসরি/আনাদোলু এজেন্সি।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ, মিশরসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীরা ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন। ফাইল ফটো। পিকচার অ্যালায়েন্স/তাসনিম নাসরি/আনাদোলু এজেন্সি।

অবৈধপথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশ ঠেকাতে আফ্রিকার দেশ মিশরের সাথে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

রোববার সাক্ষরিত এ চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে। 

এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচার ঠেকাতে মিশরের সীমান্ত পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের দক্ষতা বাড়ানো হবে। তাছাড়া সীমান্তে নজরদারির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ, থারমাল ক্যামেরা এবং স্যাটালাইট পজিশনিং সিস্টেম।

২০১৬ সাল থেকে মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল দিয়ে শরণার্থীদের ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মিশরের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশ ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। 

পড়ুন: গ্যাস ও অভিবাসন নিয়ে আলজেরিয়া-ইটালি চুক্তি

যেমন চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ১৬ হাজার ৪১৩ জন মিশরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপের দেশ ইটালিতে পৌঁছেছেন।

আসছে দিনগুলোতে আঞ্চলিক অস্থিরতা, জলবায়ু পরির্বতনের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মিশর থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকার এই দেশটির সাথে সাথে এমন চুক্তি করল ইউরাপিয়ান ইউনিয়ন।

তার আগে ইউরোপিয়ান কমিশনার ওলিভার ভারহেলির কায়রো সফরের সময় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথম ধাপে ২৩ মিলিয়ন ইউরোরে চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছিল। 

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। আইওএম-এর মিশরের প্রধান ল্যরেন্ট ডে বোয়েক বলেন, ''প্রকল্পের আওতায় অন্তত চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।"

তাছাড়া, এই প্রকল্পের আওতায় শরণার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য রোধ করে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে মিশরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নাগরিক সমাজের সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করা হবে। 

আরআর/কেএম (রয়র্টাস)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন