আর্কাইভ: হেলেনিক কোস্ট গার্ডরা  ২৭ অভিবাসীকে হ্যান্ড আউট ছবি দেখাচ্ছেন৷ গ্রিক ট্যাঙ্কার  তদের উদ্ধার করেছিল৷ ছবি: ইপিএ/হেলেনিক কোস্ট গার্ড
আর্কাইভ: হেলেনিক কোস্ট গার্ডরা ২৭ অভিবাসীকে হ্যান্ড আউট ছবি দেখাচ্ছেন৷ গ্রিক ট্যাঙ্কার তদের উদ্ধার করেছিল৷ ছবি: ইপিএ/হেলেনিক কোস্ট গার্ড

গ্রিসে আরো দুটি জাহাজডুবির ঘটনার পর ইউরোপীয় জলপথে ‘নিরাপদ রাস্তা’ তৈরির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ফের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)।

গত সপ্তাহে গ্রিক দ্বীপপুঞ্জ ইভিয়া এবং সামোস থেকে অভিবাসীদের জাহাজ ডুবির দুটি পৃথক ঘটনার পর মোট ২৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।

দুটি পৃথক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিতদের খোঁজার কাজ গত সপ্তাহে প্রবল হাওয়ার কারণে ব্যাহত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনেক ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করছে।

এক মাসেরও কম সময় আগে, গ্রিক দ্বীপপুঞ্জ লেসবস এবং কিথিরার কাছে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ২৮ জন প্রাণ হারান।

'সমুদ্রে মর্মান্তিক মৃত্যু এবং দুর্ভোগ এড়ানো যায়'

গ্রিসে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি মারিয়া ক্লারা মার্টিন বলেছেন, "প্রতিটি জীবন মূল্যবান। সমুদ্রে মর্মান্তিক মৃত্যু এবং দুর্ভোগ এড়ানোর উপায় হলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে পদক্ষেপ নিয়ে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা।"

তার কথায়, "ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক রুটের ব্যবহার এবং চোরাচালান রোধ করতে হবে। শরণার্থীদের বাস্তবসম্মত এবং মানবিক বিকল্প প্রয়োজন যা তাদের নিরাপত্তা দেবে এবং আশ্রয়ের অধিকার রক্ষা করবে।" 

গ্রিসে আইওএম মিশনের প্রধান জিয়ানলুকা রোকো বলেন, "শিশু, নারী, পুরুষ একের পর এক ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাচ্ছেন। জীবন বাঁচানো এবং প্রাণহানি রোখার প্রয়োজন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক স্তরে আরো প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যার ফলে অভিবাসীদের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার ঝুঁকি কমে।নিরাপদ রুট নিয়েও প্রচার হওয়া দরকার " 

আইওএমের নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে কমপক্ষে ২৫ হাজার ১১৪টি মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটে একই সময়ের মধ্যে দুই হাজার ১৬২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

২০২১ সালের শুরু থেকে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ১১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ এছাড়া সমস্ত ভূমধ্যসাগরে দুই হাজারের বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে লেসবস এবং কিথিরার কাছে আরো দুটি ভয়াবহ জাহাজডুবির পরে ইউরোপীয় জলপথে নিরাপদ রুট তৈরি করতে ইইউর কাছে আবেদন জানিয়েছে আইওএম এবং ইউএনএইচসিআর।

সর্বশেষ ঘটনাগুলির পরে ইইউ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

আরকেসি/এসিবি

 

অন্যান্য প্রতিবেদন