ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ইউরোপের চার দেশ শরণার্থীদের আশ্রয়প্রদান বিষয়ে ইউরোপের নীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ গত সপ্তাহে উদ্ধারকারী জাহাজ ওশান ভাইকিংয়ের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ইটালির সাথে অস্থিরতা শুরু পর প্রতিক্রিয়া জানাল চার দেশ৷
শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে সাগরতীরের চার দেশ, ইটালি, গ্রিস, মাল্টা এবং সাইপ্রাস জানায়, অবৈধপথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথমে যে দেশটিতে আসবে সে দেশটিতেই তারা আশ্রয় আবেদন করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই ধারা মেনে চলতে পারবে না ইটালি৷
অভিবাসন বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতি অনুসারে, অবৈধপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথম যে দেশে আসবে সে দেশেই তাদের আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে৷
আর এ কারণে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশগুলোকে সাগরপথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দিতে হয়৷ কেননা, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাধারণত এই চারটি দেশেই আশ্রয় নিয়ে থাকে৷
গত সপ্তাহে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘ওশান ভাইকিংকে’ অবিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি ইটালি৷ দুইশতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে আশ্রয়ের আশায় কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভাসছিল জাহাজটি৷ এনিয়ে জার্মানি এবং ফ্রান্সের সাথে ইটালির কূটনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়৷ পরে জাহজটিকে নিজেদের বন্দরে ভিড়ার অনুমতি দেয় ফ্রান্স৷
বিবৃতি দেওয়া এই চার দেশের দাবি, ইউরোপের দেশগুলো যে সংখ্যক অভিবাসীকে আশ্রয় দেয় তা অবৈধ পথে আশ্রয় নিতে আসা অভিবাসীদের তুলনায় খুবই কম৷
তাছাড়া, সমুদ্রে বেসরকারি সংস্থার উদ্ধার কাজের নিন্দা জানায় এই চার দেশ৷ উল্লেখ্য ভূমধ্যসাগরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে নিয়োজিত আছে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের বেসরকারি সংস্থা জাহাজা৷
বিবৃতিতে জানানো হয়, সাগরপথে আসা এসকল অভিবাসীকে জায়গা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে এই চার দেশকে৷ আর তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানায়৷
আরআর/কেএম (এপি, ডিপিএ)