চলতি মাসের শুরুর দিকে ভূমধ্যসাগর থেকে দুইশ ৩৪জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে আশ্রয়ের আশায় সমুদ্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসছিল বেসরকারি সংস্থার জাহাজ ওশান ভাইকিং৷ ফাইল ফটো৷ এএফপি, ক্রিস্টফ সিমন৷
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভূমধ্যসাগর থেকে দুইশ ৩৪জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে আশ্রয়ের আশায় সমুদ্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসছিল বেসরকারি সংস্থার জাহাজ ওশান ভাইকিং৷ ফাইল ফটো৷ এএফপি, ক্রিস্টফ সিমন৷

ভূমধ্যসাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসতে থাকা মানবিক উদ্ধারকাজে নিয়োজিত জাহাজ ওশান ভাইকিংয়ের ২০জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দেবে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশ নরওয়ে৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার এ কথা জানান৷

চলতি মাসের শুরুর দিকে ভূমধ্যসাগর থেকে দুইশ ৩৪জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে আশ্রয়ের আশায় সমুদ্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসছিল মানবিক উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থার জাহাজ ওশান ভাইকিং৷ 

জাহাজটির পক্ষ থেকে সাগর তীরের দেশ ইটালিকে তাদের বন্দরে ভিড়ার অনুমতি দিতে অনুরোধ করলেও সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি ইটালি৷ ফলে আশ্রয়ের আশায় কয়েক সপ্তাহ সমুদ্রে ছিল জাহাজটি৷ 

এ নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ইটালির সাথে জার্মানি ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করে৷

শেষ পর্যন্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে জাহাজটিকে নিজেদের বন্দরে ভিড়ার অনুমতি দেয় ফ্রান্স৷ 

পড়ুন: আশ্রয়প্রদান বিষয়ে ইটালির পক্ষে ইউরোপের চার দেশের সাফাই

ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাহাজে থাকা ৪০ অপ্রাপ্তবয়স্ককে একটি সামাজিক সুরক্ষাকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ আর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একশ ৮৯জনকে আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে৷ এই একশ ৮৯ জনের মধ্যে একশ ৬৬জন তাদের আশ্রয়আবেদনের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি৷ 

আর তাই বাকি ৬৬জনের আশ্রয়আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে৷ আশ্রয়ের জন্য এই ৬৬জনকে ইউরোপের ১১টি দেশে পাঠানো হবে৷ এরমধ্যে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড ও পর্তুগালসহ ইউরোপের বেশকিছু দেশ৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের স্বেচ্ছা পুনর্বাসন স্কিমের আওতায় এই দেশগুলো স্বপ্রণোদিত হয়ে এ সকল অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে আশ্রয় দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ 

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হয়েও জাহাজটিতে থাকা ২০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নরওয়ে৷ 

ওশান ভাইকিং: অভিবাসীদের উদ্ধারের ঘোষণা প্যারিসের

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা বলতে চাই যে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপরে নরওয়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ ফ্রান্স সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷’’

মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরো জানান, যাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তারা শরণার্থী হিসেবে নরওয়েতে আশ্রয় পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করতে পারবে এমন সম্ভাবনা যথেষ্ট৷ তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরকে আশ্রয়প্রদানের তালিকায় যুক্ত করা হয়নি৷ 

আরআর/এসিবি (এএফপি)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন