করোনা ভাইরাসের বিধিমালা শিথিল করার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে আসা শুরু করেন৷ফাইল ফটো: আদ্রি সালিদো/এএ/পিকচার অ্যালায়েন্স৷
করোনা ভাইরাসের বিধিমালা শিথিল করার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে আসা শুরু করেন৷ফাইল ফটো: আদ্রি সালিদো/এএ/পিকচার অ্যালায়েন্স৷

যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে৷ গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা শত শত থেকে হাজার হাজারে পৌঁছেছে৷

তবে এ বছর দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি৷ সংখ্যার দিক থেকে তা রেকর্ড ছাড়িয়েছে৷  

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১২ মাসে দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে৷  

গত বছর একই সময়ে দেশটির মোট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার৷  

উল্লেখিত সময়ে যত অভিবাসী দেশটিতে এসেছিলেন তা থেকে যতজন আবার দেশটি ত্যাগ করেছেন, তা বিয়োগ করে অভিবাসীদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করেছে সরকার৷  

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সমালোচনা

অভিবাসী রেকর্ডসংখ্যক হওয়ার পেছনে নানা কারণের কথা উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ ও আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা৷  

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর দেশ ছাড়েন লাখ লাখ ইউক্রেনীয়৷ তাদের অনেকেই ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন৷ তার আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আসার পর অনেক আফগান যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন৷  

তাছাড়া করোনা ভাইরাসের বিধিমালা শিথিল করার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে আসা শুরু করেন৷ সব মিলিয়েই রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী দেখা গেছে দেশটিতে৷

‘অবৈধ অভিবাসন’ ঠেকাতে ‘আরো কঠোর’ উদ্যোগ নেবে যুক্তরাজ্য

দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন বিভাগের পরিচালক জে লিনডোপ বলেন, ‘‘চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলেছে৷’’ 

যুক্তরাজ্যের এই অভিবাসীর সংখ্যাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেও মন্তব্য করেন৷ 

আরআর/জেডএ (এএফপি) 

 

অন্যান্য প্রতিবেদন