মূল সাইপ্রাসের পুরনারা আশ্রয় কেন্দ্রের একটি অংশ থেকে টার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মানচিত্র দেখা যাচ্ছে। ছবি: পিকচার এলায়েন্স
মূল সাইপ্রাসের পুরনারা আশ্রয় কেন্দ্রের একটি অংশ থেকে টার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মানচিত্র দেখা যাচ্ছে। ছবি: পিকচার এলায়েন্স

চলতি বছরের শুরু থেকেই অভিবাসী আগমনের কারণে চাপের মুখে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস। ভূমধ্যসাগরের এই দেশে অভিবাসী আগমনের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, পাশ্ববর্তী তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সাইপ্রাসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণহারে আসা শিক্ষার্থীরা এর অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র ২০২২ সালের শুরু থেকেই অভিবাসী আগমনজনিত সমস্যায় জর্জরিত। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য দেশটির পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ অভিবাসী। ব্যাপক এই অভিবাসী আগমনের পিছনে নর্দান সাইপ্রাসের শিক্ষা খাত পরোক্ষ ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কীভাবে ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপে বিপুল সংখ্যক অনিয়মিত অভিবাসীর আগমন বেড়েছে সেটি বুঝতে দ্বীপের ভৌগোলিক সমস্যা ও রাজনৈতিক ইতিহাসের বিষয় মাথায় রাখতে হবে। মানবপাচার চক্র এবং তাদের সহযোগীরা আইনের অপব্যবহার করে মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে সাইপ্রাসে পাঠানোর মিথ্যা স্বপ্ন দেখায়।

প্রতি এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র সাইপ্রাসে পৌঁছানো বিশাল সংখ্যক অভিবাসীদের মধ্যে বেশীরভাগই প্রবেশ করেন উত্তর সাইপ্রাস থেকে। 

পড়ুন>>সাইপ্রাস: “নিয়োগকর্তারা সবসময় বলেন আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কোনো চাকরি নেই”

১৯৭৪ সালে দুই ভাগে বিভক্ত হয় সাইপ্রাস৷ বর্তমানে উত্তরাংশ তুর্কি ভাষাভাষী অধ্যুষিত জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে৷ নিজেদের স্বাধীন দাবি করে আসা টার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসকে স্বীকৃতি দিয়েছে শুধু তুরস্ক৷ অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রিপাবলিক অফ সাইপ্রাসে বাস করেন গ্রিক ভাষাভাষী সাত লাখ নাগরিক৷


একজন অভিবাসীকে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রে দেখা যাচ্ছে। যেখান থেকে কিছু দূরেই অপর প্রান্তের নর্দান সাইপ্রাস দৃশ্যমান। ছবি: পিকচার এলায়েন্স
একজন অভিবাসীকে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রে দেখা যাচ্ছে। যেখান থেকে কিছু দূরেই অপর প্রান্তের নর্দান সাইপ্রাস দৃশ্যমান। ছবি: পিকচার এলায়েন্স


শুধুমাত্র তুরস্ক স্বীকৃত এই বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অঞ্চলটি দক্ষিণ সাইপ্রাস থেকে জাতিসংঘের একটি বাফার জোনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন। 

মূলত, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অভাবের কারণে উত্তর সাইপ্রাসের অনেক প্রশাসনিক বিষয়ের ন্যায় উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাও বেশ ব্যাতিক্রম ও সহজ। 

স্ব-ঘোষিত তুর্কি রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস (টিআরএনসি) এর জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ ২৬ হাজার। এই ছোট অঞ্চলটিতে মোট ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলো শুধুমাত্র তুরস্ক স্বীকৃত। অর্থাৎ নর্দান সাইপ্রাসের প্রায় প্রতিটি বড় এলাকায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

আরও পড়ুন>>উত্তর সাইপ্রাসে অনিয়মিত অভিবাসনে সহায়তার দায়ে আটক দুই বাংলাদেশি

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন ডিগ্রি প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। যা প্রায়ই ইইউ-এর বাইরের বিভিন্ন দেশের লোকেদের ইউরোপে প্রবেশের একটি সূত্র হিসাবে কাজ করে।

বার্তা সংস্থা এএফপি সরকারি সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, গত শিক্ষাবর্ষে নর্দান সাইপ্রাসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১ লাখ আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেকই বিদেশ থেকে এসেছেন। 

তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ জন নাইজেরিয়া থেকে এসেছেন। টিআরএনসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি) এবং পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরাও। 

নর্দান সাইপ্রাস ও অভিবাসীদের ‘সম্মিলিত’ লাভ

অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন নর্দান সাইপ্রাসের জন্য শিক্ষা খাত বড় একটি সেক্টর হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে। স্বঘোষিত এই দেশটির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নাজিম কাভুসোগলু বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা খাত পুরো দেশের জিডিপির এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।

বার্তা সংস্থা এএফপি পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাৎসরিক টিউশন ফি প্রায় তিন হাজার ডলার বা তিন লাখ টাকারও কম কম হওয়ায়, এই শিক্ষা ব্যবসা অভিবাসী এবং বিচ্ছিন্ন এই রাষ্ট্রের সরকার উভয়ের জন্যই লাভজনক একটি বিষয়। 

পড়ুন>>আশ্রয়প্রদান বিষয়ে ইটালির পক্ষে ইউরোপের চার দেশের সাফাই

আন্তর্জাতিক ছাত্ররা সাধারণত তাদের টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়াসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খরচ বিদেশি মুদ্রায় প্রদান করে। যা দ্বীপের সরকারি মুদ্রা তুর্কি লিরার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যায় এটি টিআরএনসির অর্থনীতিতে একটি বড় আশীর্বাদ। বিগত বছর দ্বীপের মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। 

চকচক করলেই সোনা হয় না 

বিভিন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে টিআরএনসি-র কর্তৃপক্ষ বিদেশি ছাত্রদের আসা তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে। একবার কোন ব্যক্তি উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে নিবন্ধিত হয়ে গেলে আগে থেকে জারি করা ভিসা ছাড়াই এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে এবং আগমনের পরে তাদের অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন এজেন্টের সঙ্গে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে। একজন নিবন্ধিত ছাত্র প্রতি একটি এজেন্ট এক হাজার ডলার বা এক লাখ টাকা মুনাফা করে থাকে। যা টিউশন ফির এক তৃতীয়াংশ।

আরও পড়ুন>>আশ্রয়প্রার্থীর চাপ মাথায় নিয়ে জাতিসংঘে যাবে সাইপ্রাস

এএফপি-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এই ব্যবসা আরও বেড়েছে। অনানুষ্ঠানিক এজেন্টের সংখ্যা আকাশচুম্বী হয়েছে। এসব এজেন্টদের অনেকেই বর্তমান বা প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে নর্দান সাইপ্রাসে এসেছেন। তারা তাদের নিজ দেশের লোকদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে।

ইউরোপে প্রবেশ কিন্তু ইইউ’তে নয়

ক্যামেরুন থেকে আসা ছাত্র রিকটাস ফ্রাঙ্ক এনগংগাং এএফপিকে বলেন, তিনি ইউরোপীয় মহাদেশে সহজে প্রবেশের মিথ্যা প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। 

তিনি বলেন, যেই এজেন্ট তাকে নর্দান সাইপ্রাসে নিয়ে এসেছিলেন তিনি মিথ্যা বলেন।

এই ২৮ বছর বয়সি অভিবাসী আরো বলেন, তিনি যে কোর্সের জন্য আবেদন করেন, তাতেও তিনি নথিভুক্ত ছিলেন না সম্ভবত সেই নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম শুরুর জন্য ন্যূনতম ছাত্রের সংখ্যা পূরণ না হওয়ায় এটি চালু হয়নি। এজেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেকোনো মূল্যে ছাত্রদের নিয়ে আসতে এই কোর্সকে ব্যবহার করেছিল। 

তিনি জানান, নর্দান সাইপ্রাসে আসার পর আমি আবাসনের ভাড়া শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। দুই কক্ষের একটি ফ্ল্যাটে আমরা ১০ জন ছিলাম। যার জন্য জনপ্রতি ৩০০ ভাড়া দাবি করা হয়।”

দক্ষিণ সাইপ্রাসে আসার প্রতারণা

একজন নাইজেরিয়ান ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, তিনি উত্তর সাইপ্রাসে এসে প্রতারিত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশায় এমন একটি দেশে পৌঁছানোর আশা করেছিলেন যাদের ফুটবল দল ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

পড়ুন>>সাইপ্রাসের শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশিদের ঠাঁই যেভাবে

নাইজেরিয়ান ছাত্রটি তার কোর্স নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও নর্দান সাইপ্রাসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘বিধ্বংসী’ বলে অভিহিত করেন। তার পক্ষে টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়ার অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন। 

তিনি শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি মূলত ইইউ সাইপ্রাস নয়। 

নাইজেরিয়া থেকে আসা এই ছাত্র বুঝতে পারেন, তিনি একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে এসে পৌঁছেছেন যা তিন দিকে সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত এবং অন্য দিকে জাতিসংঘের প্রাচীর যা নর্দান সাইপ্রাসকে মূল সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

অভিবাসী পাচারে ‘লাভজনক’ ব্যবসা

নর্দান সাইপ্রাসের বিস্তৃত বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের ভাঁজে পাচারকারীরা যোগ দেয়। ছাত্রদের বিভ্রান্তির উপর ভিত্তি করে, তারা এক সময় ছাত্রদের অপর প্রান্তে থাকা মূল সাইপ্রাসে পাচারের প্রস্তাব দেন। 

ইউএনএইচসিআর পরিচালিত একটি সমীক্ষা বলছে, “নর্দান সাইপ্রাসে পাচারকারীরা প্রায়ই নিজেদেরকে বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দেন।তারপর সম্ভাব্য আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের বিভিন্ন পরিষেবাগুলোর প্রস্তাব দেয়।”

এই চোরাকারবারীরা উত্তর থেকে দক্ষিণে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত গোপন যাত্রার মাধ্যমে প্রায়ই ছাত্রদের পাচার করে। যারা পরবর্তীতে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ সাইপ্রাসে নিবন্ধিত হোন। 

পড়ুন>>বৈধ প্রক্রিয়ায় উত্তর সাইপ্রাসে যেমন আছেন বাংলাদেশিরা

সেখানে তারা কীভাবে আশ্রয় আবেদনের ফাইল করবে, কী বলতে হবে এবং কীভাবে তাদের মামলা উপস্থাপন করতে হবে সে সম্পর্কেও অর্থের বিনিময়ে পরামর্শ দেয় পাচারকারীরা। 

যৌন সহিংসতা 

নর্দান সাইপ্রাস সেন্টার ফর মাইগ্রেশন, আইডেন্টিটি অ্যান্ড রাইটস স্টাডিজ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র বিদেশি ছাত্রদের অপরাধী সংগঠনের হাতে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যার ফলে প্রায়শই মানব পাচার ও শ্রম শোষণের ঘটনা ঘটে। 

টিআরএনসাইট নিবন্ধিত এনজিও হিউম্যান রাইটস প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছেন, তারা শুধুমাত্র এই বছর নাইজেরিয়া থেকে এমন ২১ জন নারী শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে যাদের মূলত যৌনকর্মী হিসেবে ছাত্র ভিসায় পাচার করা হয়েছিল। তারা এসব শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সহিংসতার হুমকি দেয়া হয়।

পড়ুন>>বারবার আদালতে আবেদন বাতিল, তবু হাল ছাড়ছেন না এই বাংলাদেশিরা

গত মাসে, নাইজেরিয়া সরকার নর্দান সাইপ্রাসে ভবিষ্যত প্রতারণা এড়াতে একটি সতর্কতা জারি করেছে।

'ইউরোপের শর্টকাট পথ'

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ সালিহ সারপ্টেন এএফপিকে বলেছেন, মূলত টিআরএনসি এইভাবে তরুণদের জন্য একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে। যেখানে আসা ছাত্ররা পরবর্তীতে মূল সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র হয়ে ইউরোপে প্রবেশের একটি শর্টকাট রুটের সন্ধানে থাকে। 

সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূল সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রে প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ নতুন আশ্রয়প্রার্থী এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, ডিআরসি এবং পাকিস্তানের নাগরিক। নর্দান সাইপ্রাসে শিক্ষার্থী ভিসায় আসা শীর্ষ তিন দেশের নাগরিকরা মূলত পরবর্তীতে দক্ষিণ সাইপ্রাসে আশ্রয়প্রার্থীতে রূপান্তরিত হোন। 

উত্তর সাইপ্রাসের শিক্ষামন্ত্রী কাভুসোগলু বলেছেন, এই হুমকিগুলি মোকাবেলা করার জন্য নতুন খসড়া আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এজেন্টদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বীকৃত হওয়া এবং সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেয়ার শর্ত যোগ করা হবে। 

পড়ুন>>'হাতজোড় কইরা কমু, এই টাকা দিয়া দেশে ব্যবসা করেন'

তবে এই আইন পাস হবে কি না তা অনিশ্চিত। মূল সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের আগমনকে উত্সাহিত করার জন্য উত্তরকে অভিযুক্ত করে আসছে। 

পাশাপাশি এটিকে তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ হিসেবেও দেখা হয়। 

নর্দান সাইপ্রাসে ব্যাপক হারে ভুয়া ছাত্র ভিসায় মানবপাচারে জড়িত এক এজেন্ট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আপনার কাছে টাকা নেই, তাহলে এখানে আসার দরকার নেই।”


এমএইউ/আরকেসি
















 

অন্যান্য প্রতিবেদন