২০২২ সালে প্রায় সাত হাজার অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সাইপ্রাস৷ দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস নুরিসের মতে, অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে সাইপ্রাস একটি মডেল দেশ৷
আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়া বিপুল সংখ্যক অনিয়মিত আশ্রয়প্রার্থীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে সাইপ্রাস৷
চলতি বছরের জুলাই মাসে সেই সময় পর্যন্ত দুই হাজার ৭৭০ জনকে ফেরত পাঠানোর তথ্য দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস নুরিস৷
১ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজধানী নিকোসিয়ায় উচ্চ-স্তরের একটি বৈঠকে প্রায় সাত হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত ‘নেটওয়ার্ক অন রিটার্নস’ নামক একটি বিল উপস্থাপন করেন নিকোস নস নুরিস।
আরও পড়ুন>>উত্তর সাইপ্রাসে অনিয়মিত অভিবাসনে সহায়তার দায়ে আটক দুই বাংলাদেশি
বৈঠকে ইইউ’র সদস্য রাষ্ট্র, ফ্রন্টেক্স এবং ইউরোপোলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সাইপ্রাসের লক্ষ্য হল সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো যেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুড়ে অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়৷’’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্ত সংস্থা (ফ্রন্টেক্স)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০,৭৪৮জন অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশবেশি।
পড়ুন>>যেভাবে মানবপাচারে জড়িয়েছে নর্দান সাইপ্রাসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ইউরোপের বহিঃসীমান্তে ২,৩০০ জন কর্মী, ৬০টিরও বেশি জাহাজ এবং ২৭০টিরও বেশি টহল গাড়ি মোতায়েন করেছে ফ্রন্টেক্স৷ যার আওতায় সাইপ্রাসেও ২৫ জন ফ্রন্টেক্স কর্মী এবং ১৫ জন প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন৷
তবে প্রত্যাবাসনের উপর সরকারের নজরদারি বৃদ্ধি ও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশটিতে নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন কমেনি৷ি।
আরও পড়ুন>>সাইপ্রাসে মানবপাচার: চক্রের সন্ধানে ব়্যাব, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩
অভিবাসন প্রবাহ থামাতে সরকার নর্দান সাইপ্রাসের সাথে থাকা বাফার জোনের বিভিন্ন অংশে কাঁটাতারের বিতর্কিত বেড়া স্থাপন এবং নতুন নীতি প্রবর্তনসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সাইপ্রাসে বর্তমানে দুটি ‘সহায়তামূলক স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন’ কর্মসূচি রয়েছে৷ যার একটি আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং অন্যটি সিভিল রেজিস্ট্রি এবং মাইগ্রেশন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয়।
পড়ুন>>সাইপ্রাসের শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশিদের ঠাঁই যেভাবে
তবে আইওএম বলেছে, এই প্রোগ্রামগুলি সফল করতে অভিবাসী, সুশীল সমাজ, আয়োজক দেশ এবং ট্রানজিট দেশের পাশাপাশি অভিবাসীদের যে দেশের সেই দেশের সরকারগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন৷
এমএইউ/আরআর (সাইপ্রাস মেইল)