অনেক অভিবাসী বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ফ্রান্স  পেরিয়ে বেলজিয়ামে আসে৷ ছবি: বার্নাডেট সাজাবো/রয়টার্স
অনেক অভিবাসী বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ফ্রান্স পেরিয়ে বেলজিয়ামে আসে৷ ছবি: বার্নাডেট সাজাবো/রয়টার্স

ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা বেলজিয়ামের প্রতি আশ্রয়প্রার্থীদের আরও ভাল সহায়তা দিতে আহ্বান জানিয়েছে৷ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা সত্ত্বেও ব্রাসেলসের রাস্তায় শত শত মানুষ ঘুমাতে বাধ্য হয়েছে৷ তারপরই এই আবেদন জানানো হয়েছে৷

কাউন্সিল অফ ইউরোপের মানবাধিকার কমিশনার দুনইয়া মিয়াকভিচ বেলজিয়ামের রাষ্ট্রীয় সচিবকে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি চিঠি লিখেছেন৷ 

মাইগ্রেশন রিপোর্টে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে, অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলিতে জায়গা না থাকার ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাস্থ্যের অধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার ক্ষতি হচ্ছে।

মিয়াকভিচ বলেছেন, বেলজিয়াম অক্টোবরে দেড় হাজারের বেশি মানুষের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেনি৷ এদের মধ্যে শিশুসহ পরিবার এবং সঙ্গীহীন নাবালকও রয়েছে।

তিনি বলেন, ``আবাসন অভাব ছাড়াও, বেলজিয়ামে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা যারা খুঁজছে, তারা রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতিতে রয়েছে৷ তাদের আবেদন নিবন্ধন করার ক্ষমতা সীমিত হওয়ার কারণে আশ্রয় আবেদনে সমস্যা হচ্ছে৷ সময়মতো বিষয়টি এগোচ্ছে না৷" 

নভেম্বরে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত বেলজিয়ামকে আহ্বান জানায় বাসস্থান নেই এমন ১৪৮ জন আশ্রয়প্রার্থীকে সহায়তা দিতে হবে।

বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষের মতে, দেশে চলতি বছর আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷" এমনটাই জানিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা৷ নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ৬২ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী ছাড়াও বেলজিয়ামে আরো ৩৩ হাজার ৩৪০ জন আশ্রয় আবেদন করেছিলেন৷

মিয়াকভিচের বক্তব্য়ের প্রেক্ষিতে বেলজিয়ামের আশ্রয় ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি অফ স্টেট নিকোল ডি মুর জানান, বেলজিয়ামের সিস্টেমে কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে৷ 

বেলজিয়াম বলেছে, সে দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ৩৩ হাজার জায়গা রয়েছে৷ গত বছর সাত হাজারের বেশি অতিরিক্ত জায়গা তৈরি করা হয়েছে৷

ডি মুর বলেন, তিনি মাথার ছাদ নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং অসহায় মানুষদের সঙ্গে জড়িত মামলাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

  

আরকেসি/এআই (এপি)


 

অন্যান্য প্রতিবেদন