২০২১ সালের শেষের দিকে জার্মানির অ্যাসাইলাম-সিকারস বেনিফিটস অ্যাক্ট থেকে কমপক্ষে তিন লাখ ৯৯ হাজার মানুষ সহায়তা পেয়েছিলেন৷ সহায়তার মধ্যে খাদ্য খরচ, বাসস্থান, পোশাক, স্বাস্থ্যসেবা এবং গৃহস্থালী সামগ্রীর জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল৷
বুধবার জার্মানির ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৫ সালে ইউরোপে অভিবাসী সংকটের পর প্রথমবারের মতো জার্মান সরকারের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণকারী আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে৷
নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের শেষের দিকে অন্তত তিন লাখ ৯৯ হাজার মানুষ দেশটির আশ্রয়-প্রার্থী সুবিধা আইনের অধীনে সহায়তা পান। এটি আগের বছরের থেকে ৪.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইন অনুসারে, যারা সফলভাবে জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন বা যারা আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছেন, তারা সরকারি সাহায্য পেতে পারেন।
তারা খাদ্য খরচ, বাসস্থান, বস্ত্র, স্বাস্থ্যসেবা এবং গৃহস্থালী সামগ্রী সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির জন্য সহায়তা পান। বিশেষ সহায়তাও মঞ্জুর করা যেতে পারে, উদাহরণস্বরূপ গর্ভাবস্থা বা অসুস্থতার ক্ষেত্রে। ২০২১ সালে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০ জন অভিবাসী বিশেষ সহায়তা পেয়েছেন।
২০২১ সালে অ্যাসাইলাম-সিকারস বেনিফিটস অ্যাক্ট দ্বারা সমর্থিত অভিবাসীদের মধ্যে ৬১% পুরুষ এবং সমস্ত সুবিধাভোগীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিল নাবালক। অভিবাসীদের বেশিরভাগই মূলত আফগানিস্তান, ইরাক বা সিরিয়া থেকে এসেছেন।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরিত্রিয়া এবং ইরাকের মতো দেশে সংকট থেকে পালিয়ে আসা লোকেরা রুশ আগ্রাসন থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের তুলনায় কম সুবিধা পায় বলে জানা গিয়েছে।জার্মানিতে, ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ১লা জুন থেকে কল্যাণ ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তারা জনস্বাস্থ্য বিমা, লাভজনক কর্মসংস্থানের অনুমতি, বেকারত্বের সুবিধা, শিশু সুবিধা, উচ্চ শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং অবসরকালীন সুবিধা পেতে পারে।
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের বিনামূল্যে ট্রেনে করে জার্মানিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং জার্মানির জাতীয় রেল কোম্পানি ডিবি, এমনকি স্থানীয় পরিবহনের জন্য তাদের অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে।জার্মানিতে অ-ইউক্রেনীয় আশ্রয়প্রার্থীরা কয়েক মাস বা এমনকি বছরের পর বছর ধরে আবাসনের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা করেন। তারপর, শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃত হওয়ার পর তারা কল্যাণ ব্যবস্থার অধীনে আসেন। তারপর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পান৷
আরকেসি/এআই