ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়বে বরে মনে করেন ইইউ’র অ্যাসাইলাম এজেন্সির প্রধান নিনা গ্রেগরি৷
জার্মানির ফুঙ্কে মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) অধিকর্তা গ্রেগরি বলেন, ‘‘এটি বেশ স্পষ্ট, ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান আবেদন সংখ্যা অব্যাহত থাকবে৷’’
অস্থিরতা এবং মানব নিরাপত্তার হুমকি এখনকার বিশ্বের বড় সমস্যা৷ তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত এগুলি অস্থায়ী নয়৷ গত দুই বছরে ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নের সরাসরি প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর, যার ফলে ইইউর দেশগুলিতে বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে৷’’
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইইউতে প্রায় সাত লাখ ৯০ হাজার আশ্রয়আবেদন করা হয়েছে৷
তিনি জানান, আশ্রয়আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ৫৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবে ২০১৫-২০১৬ সালের তুলনায় এটি কম৷
ইইউএএ-এর মতে, বেশিরভাগ আশ্রয়প্রার্থী সিরিয়া,আফগানিস্তান ও তুরস্ক থেকে এসেছেন৷
ইইউ’র নিয়মের ফলে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের দীর্ঘ আশ্রয়প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না৷ তারা সাময়িক সুরক্ষা পাচ্ছেন৷
গ্রেগরি জানান, প্রায় ৪৭ লাখ শরণার্থীকে এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত করা হয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে সিস্টেম যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে৷’’ গ্রেগরি পরিকল্পিত ইইউ আশ্রয় এবং অভিবাসনের অগ্রগতির আহ্বান জানিয়েছেন৷ তার কথায়, ‘‘এই বিষয়গুলিতে অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ হবে৷’’
তিনি ইইউ পর্যায়ে একটি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ২০২৪ সালের ইইউ নির্বাচনের আগে কাঠামোগত সমাধান পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের মতে, অনিয়মিত পথে ইইউতে প্রবেশকারী অভিবাসীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে৷ পশ্চিম বলকান রুটে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে প্রবেশ করেছে৷ ফলে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে৷
আরকেসি/আরআর (ডিপিএ)