বিবিসি ডকুমেন্টারিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে স্প্যানিশ ভূখণ্ড থেকে লোকদের জোর করে মরক্কোতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ছবি: বিবিসি আফ্রিকা আই
বিবিসি ডকুমেন্টারিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে স্প্যানিশ ভূখণ্ড থেকে লোকদের জোর করে মরক্কোতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ছবি: বিবিসি আফ্রিকা আই

মরক্কোর একটি দল শনিবার মাঝরাতে এবং রোববার ভোররাতে স্পেনের মেলিলা ছিটমহলে প্রবেশ করেছে। একটি অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, আফ্রিকার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি স্থল সীমান্তের একটিতে কয়েক ডজন অভিবাসী প্রবেশের চেষ্টা করেছেন।

মরোক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস (এএমডিএইচ) টুইটারে বলেছে, নববর্ষের প্রাক্কালে সীমান্ত শহর নাদোর থেকে কয়েক ডজন তরুণ মেলিলায় পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল

অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর একটি স্থানীয় শাখা বলেছে, "সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও" বেশ কয়েকজন সফলভাবে স্প্যানিশ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। যদিও মরক্কো বা স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আফ্রিকা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশে প্রধান অঞ্চলগুলোর একটি হলো স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলা। আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপে আশ্রয় নেওয়া অভিবাসীদের জন্য মেলিলার সীমান্তের কাছে অবস্থিত মরক্কোর নাদোর শহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট জোন হিসেবে পরিচিত।

মরক্কান কর্তৃপক্ষের মতে, ২৪ জুন, প্রায় দুই হাজার অভিবাসী একত্র মরক্কোর উত্তর উপকূলে অবস্থিত মেলিলা সীমান্তের বেড়া টপকে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। মরক্কো ও স্পেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিবাসীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন মারা যায় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন।

লাইটহাউস রিপোর্টস নামে ইউরোপীয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি নেটওয়ার্ক বলেছে, এটি ইউরোপীয় স্থল সীমান্তে স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।

কিছু অধিকার গোষ্ঠী সরকারি সংখ্যার চেয়ে বেশি পরিসংখ্যান দিয়েছে। এএমডিএইচ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ২৭ জন মারা গিয়েছে।

২৪ জুনের ঘটনায় আইন প্রণয়নকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে কয়েক ডজন অভিবাসীকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে মরক্কো।

উভয় সরকারই অভিবাসীদের দোষারোপ করার জন্য জোর দিয়েছিল কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একাধিক সাক্ষাৎকার নেয়। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে। ডিসেম্বরে অ্যামনেস্টি বলেছিল, স্প্যানিশ এবং মরক্কোর কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিল।

স্পেনের পাবলিক প্রসিকিউটর পরে এই ঘটনা নিয়ে সবরকম তদন্ত বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, স্প্যানিশ নিরাপত্তা বাহিনীর অপরাধমূলক কাজের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


আরকেসি/কেএম (এএফপি)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন